শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান চিরস্মরণীয় থাকবে
- ২৯ মে ২০২৩, ০১:০৬, আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১৩:১০
১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে তার সারা জীবনের দর্শন ও মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়কের প্রেক্ষাপটে তাকে এ পদকে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব শান্তিতে বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ ছাত্রাবস্থা থেকেই। রাজনীতির মাঠে এসে তিনি এ দিকে আরো নজর দেন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান। সে বছরই অক্টোবরে চীনে অনুষ্ঠিত হয় ‘পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন’। এই সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যোগ দেন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি বিশ্বের অন্য ৩৭টি দেশ থেকে আগত শান্তিকামী নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্ব শান্তি পরিষদের ‘প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির’ সভায় ১৪০টি দেশের ২০০ ডেলিগেটের উপস্থিতিতে জুলি ও কুরি পদকের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করলে সর্বসম্মতিতে তা পাস হয়। পরের বছর ২৩ মে এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে এ পদক পরিয়ে দেন। তখন তিনি বলেছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধু নয় তিনি বিশ্ববন্ধু।
চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলি ও কুরি’ বিশ্ব শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে ও মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা: মেহেরুন্নিছা খানমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মো: আমির হোসেন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মো: মুসলিম উদ্দিন সবুজ, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আলী হোসাইন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মিসেস রুবি দত্ত, অধ্যাপক ডা: হাসান মিয়া।
আলোচনা সভার পরে ‘জুলি ও কুরি’ বিশ্ব শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা