২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবৈধ মজুদদারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত

ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ডিজির মন্তব্য
-

অবৈধ মজুদদারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে রাজনৈতিক অঙ্গীকার খুবই জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ভোক্তা অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত ছায়া সংসদে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাউকে হয়রানির উদ্দেশ্যে নয়, বরং ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইনি কাঠামোর মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় পশুর হাটে কৃত্রিম সঙ্কট নিরসন ও দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নিত্যপণ্যের ভেজাল ও নকল বিরোধী অভিযানসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা অধিকার আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত কার্যক্রম আরো জোরদার হলে জনগণ তার সুফল পাবে। তিনি বলেন, প্রচলিত ভোক্তা অধিকার আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এ আইনের আধুনিকায়নে কাজ চলছে। কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি পণ্যমূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ মজুদ ও উৎপাদন বন্ধের মতো অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৫৪টি মামলা করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, প্রতিটি ভোক্তারই নিরাপদ, মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে ভোক্তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। চটকদার বিজ্ঞাপন, নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রয়, চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া, ক্রয়মূল্য থেকে অত্যধিক বেশি মূল্যে বিক্রয়, পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি, কালোবাজারিসহ বিভিন্ন অসাধু কার্যকলাপের কারণে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। এ ধরনের প্রতারণার শিকার ভোক্তারা জানেন না কোনো প্রক্রিয়ায় এর প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ নিকটস্থ থানায় অথবা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। অনলাইনে, মুঠোফোনে অথবা ই-মেইলে এ অভিযোগ করা যায়। বিদ্যমান আইনে ভোক্তা কোনো প্রতারণার অভিযোগ করতে চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ করতে হয়। এরপর কয়েক দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির জন্য ভোক্তাকে কয়েক দিন সরেজমিন হাজির হতে হয়। সময়, শ্রম ও যাতায়াতের ভোগান্তির কারণে ভোক্তারা অনেক সময় ভোক্তা অধিকার আইনের সুযোগ নিতে নিরুৎসাহিত হয়। এসব কারণে ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য অনলাইনে শুনানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল পেতে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান ১০ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement