২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর ৬টির জন্য তামাক দায়ী

বিদ্যমান আইনটি সংশোধন প্রয়োজন
প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর ৬টির জন্য তামাক দায়ী -


প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান ৮ কারণের ৬টির সাথেই তামাক জড়িত। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ফুসফুস, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার অন্যতম। উচ্চ রক্তচাপ ও প্রান্তীয় রক্তনালীর রোগ হয়ে থাকে তামাকের কারণে। তামাক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই মৃত্যু অনেকটা কমে আসবে। তামাক নিয়ন্ত্রণে সরকারের কিছু ব্যবস্থা থাকলেও তা যথেষ্ট নয়, আইনে এখনো দুর্বলতা রয়েছে। আইনটির সংশোধন প্রয়োজন। বক্তারা বলেন, দেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনগণকে রক্ষায় যত দ্রুত আইনটি সংশোধন করা হবে ততো বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। হার্ট ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান অধ্যাপক ডা: সোহেল রেজা চৌধুরী। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিক্যাল রিসার্চ) ডা: শেখ মো: মাহবুবুস সোবহান।


অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বিশ্বে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর প্রধান ৮ কারণের ৬টির সাথেই তামাক জড়িত। বাংলাদেশ সরকার জনস্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন করে। ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনে। তার পরও আইনটিতে বেশ কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে। তাই দ্রুত আইনটি সংশোধন করা প্রয়োজন।
অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ তামাকবিরোধী কাজ করে যাচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে ৬টি দুর্বলতা চিহ্নিত করে সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে।
একই অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ১৭ জন সাংবাদিককে এনসিডি (নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ) মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ প্রদান করা হয়। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এ সময় হার্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব:) অধ্যাপক ডা: ইউনুছুর রহমান, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফজিলাতুন নেসা মালিক, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি মো: রাশেদ রাব্বি, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিড্স বাংলাদেশের ম্যানেজার আতাউর রহমান মাসুদ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
চায়ের সাথে চেতনানাশক খাইয়ে স্বর্ণালঙ্কার চুরি ঈশ্বরগঞ্জে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ব্যারিস্টার ফারজানাকে সংবর্ধনা যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত

সকল