সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে রান্না ঘরে গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- মো: জসিম (৪৫), তার স্ত্রী গৃহবধূ আফরোজা আক্তার (৩৮), মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) ও শিশু ছেলে জুনায়েদ (৭)। তাদের মধ্যে আফরোজা আক্তার সোমবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পরপরই অগ্নিদগ্ধদের দ্রুত হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঘটনাটি গোপন করার অভিযোগ ওঠে। সোমবার ভোর সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল ইউনিয়নের উত্তর ধনকুন্ডা এলাকায় স্থানীয় নাজমুল মিয়ার বাড়িতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে নিহত আফরোজার স্বামী দগ্ধ মো: জসিম (৪৫) ও মেয়ে জয়া আক্তার (১৩) সেখানে আইসিউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দগ্ধ জসিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আগুনে চিকিৎসাধীন জসীম উদ্দিনের শরীরের ৬৫ শতাংশ, মেয়ে জয়ার ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। শিশু জুনায়েদের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

নিহত আফরোজার বাবা আব্দুর রব জানান, নাজমুল মিয়ার তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয়তলার একটি ফ্ল্যাটে আফরোজা, তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন। আফরোজার স্বামী জসিম হানিফ পরিবহনের বাসচালক। মেয়ে জয়া আক্তার স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। আফরোজার বড় ভাই মফিজ প্রধান জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে স্বামীর জন্য রান্না করতে ওঠেন আফরোজা। রান্নাঘরে চুলায় দিয়াশলাই দিয়ে আগুন জ্বালাতেই রুমের ভেতর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘরের দরজা জানালা ভেঙে যায়।
এতে আফরোজার পুরো শরীর এবং ঘুমিয়ে থাকা দুই সন্তান ও স্বামীর শরীরে আগুন ধরে যায়। দগ্ধদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে রাতে সবাই ঘুমানোর আগে রান্নাঘরে চুলার চাবি খোলা ছিল। এতে সারা রাত গ্যাস নির্গত হয়ে ঘরের ভেতর জমাট বেঁধে থাকে। চুলা জ্বালানোর জন্য আগুন ধরালে সেখান থেকেই ঘরের ভেতর জমাট গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়।