২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কুমিল্লায় কলেজছাত্র পাভেলকে খুন করে কিশোর গ্যাং

-

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোবাইল ফোনে যোগযোগ করে একত্র হয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় পাভেল নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে। নিহত কিশোরের মা লিপি ইসলাম বাদি হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় এজাহারনামীয় ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ব্যবহৃত সুইস গিয়ার (চাকু) উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল এসব বিষয় জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। নিহত পাভেল চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলো, ফেনী জেলার গজারিয়া কান্দি (শর্শদি) এলাকার ফারুক আহাম্মেদের ছেলে আবু হুরাইরা অনিক (১৯), আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে সালমান হোসেন (২২), কুলাসার বড় বাড়ির রবিউল হক ওরফে জানু মিয়ার ছেলে নাঈমুল হক রাকিব (১৯), ধোপাখিলা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে নাজিমুল হক জয় (১৯)।


পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত আসামি নাঈমুল হক রাকিবের সাথে ফেনী শহরে গত এক মাস আগে নিহত পাভেলের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনা আসামি নাঈমুল হক রাকিব তার বাড়ি আলকরা এলাকায় এসে স্থানীয় বন্ধুদের জানায়। তখন থেকেই নাঈমুল হক রাকিব ও তার সহযোগী আসামিরা পাভেলকে মারধর করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকে। তা ছাড়া কয়েক দিন আগে আসামিরা পাভেলের নানার বাড়িতে গিয়েও তাকে খুঁজে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে কলেজ শিক্ষার্থী পাভেল নানার বাড়ি চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের ধোপাখিলা মনু ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলছিল। এ সময় নাঈমুল হকসহ আসামিরা পাভেলকে হত্যার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে একত্র হয়। পরিকল্পিতভাবে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে কিশোরদের ছুরিকাঘাতে পাভেল মারা যায়। এ সময় পাভেলের চারজন বন্ধু আহত হয়। নিহত কিশোর পাভেল মহিপাল সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
পুলিশ সুপার জানান, মামলার প্রকৃত রহস্য জানা গেছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছি।


আরো সংবাদ



premium cement