২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এমআইএসটি একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন উদ্বোধন সেনাবাহিনী প্রধানের

ভবন উদ্বোধন শেষে ল্যাব পরিদর্শন করছেন জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ : আইএসপিআর -

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) ১৯৯৯ সালে নতুন কোনো অবকাঠামো নির্মাণ ব্যতিরেকে সেনাবাহিনীর নিজস্ব স্থাপনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন ছাত্র অফিসার নিয়ে মিরপুর সেনানিবাসে যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে চারটি অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগে সর্বমোট ২,৯১৭ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করছে। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি এমআইএসটিতে আটটি বিভাগে এমএসসি, তিনটি বিভাগে এমফিল এবং সাতটি বিভাগে পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু আছে।
এমআইএসটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ ফ্যাকাল্টি টাওয়ার ৩, ৪, অ্যাডমিন টাওয়ার এবং হল অব ফেমের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভবনগুলোর উদ্বোধন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে এমআইএসটির সাবেক কমান্ড্যান্ট, সেনাবাহিনী সদর দফতরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্থাপনাগুলো উদ্বোধনের মাধ্যমে এমআইএসটির প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে একটি করে স্বতন্ত্র টাওয়ার বিল্ডিং এ একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। উদ্বোধনকৃত ফ্যাকাল্টি টাওয়ারগুলোতে সর্বাধুনিক (স্টেট অব আর্টস) গবেষণাগার বিদ্যমান, যা এমআইএসটি তথা বাংলাদেশের গবেষণা ও উন্নয়ন খাতে বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
হল অব ফেমের দেয়ালে সংরক্ষিত হয়েছে এমআইএসটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইল ফলকগুলো, সব স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থীদের নাম, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো। সেনাপ্রধানের উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করল এমআইএসটির পেট্রলিয়াম ও লুব্রিকেটিং স্টেটিং ল্যাব, যা বাংলাদেশে ব্যবহৃত পেট্রলিয়ামজাত জ্বালানির সঠিক মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। একই সাথে তিনি সাইবার সিকিউরিটিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য নির্মিত সাইবার রেঞ্জও পরিদর্শন করেন।
নতুন উদ্বোধনকৃত প্রশাসনিক ভবনে ৪৫০০০ বর্গফুটের এমআইএসটির সেন্ট্রাল লাইব্রেরি বিদ্যমান। লাইব্রেরির একটি অংশে একাডেমিক বইয়ের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রায় ৪০০০ চার হাজার বই নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে আগামী প্রজন্মের ইঞ্জিনিয়াররা বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্মকাণ্ড এবং স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করতে পারে। একই সাথে লাব্রেরিতে আনুমানিক দুই হাজার পাঁচশত বই নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশেষ ‘শেখ রাসেল আঙ্গিনা’, যা শেখ রাসেল সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের জানতে সাহায্য করবে। আইএসপিআর।


আরো সংবাদ



premium cement