২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

১০ মাসে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার কাছে

মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমিকদের কাজের গতি বেড়েছে
-

চলতি মৌসুমে (২০২২) দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ মিলিয়ন কেজির বিপরীতে গত ১০ মাসে (৩০ অক্টোবর পর্যন্ত) ৭৫.২১১ মিলিয়ন কেজি ছাড়ালো। অক্টোবরে উৎপাদন হয়েছে ১১.৩৭৭ মিলিয়ন কেজি।
নভেম্বর ও ডিসেম্বরের উৎপাদন মিলিয়ে চলতি বছরের চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরে ১৪.৭৪০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়।


জানা গেছে, চট্টগ্রামের ছোট বড় ২২টি বাগানসহ দেশের ১৬৭টি চা বাগানে গত আগস্টে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের পাতা সংগ্রহের কাজ প্রায় ১৯ দিনের মতো বন্ধ থাকার পর আগস্টে উৎপাদন হয়েছে ১০.৭৬২ মিলিয়ন কেজি।
এ দিকে ১২০ টাকা থেকে এক লাফে ১৭০ টাকা (২৫ কেজি চাপাতা সংগ্রহের মজুরি) মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিটি বাগানে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের পাতা সংগ্রহের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হওয়ায় চলতি বছরের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
গত বছর দেশে চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৭.৭৮০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে ৯৬.৫০৬ মিলিয়ন কেজি উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে। এতে ২০১৯ সালের সর্বোচ্চ ৯৬.০৬৯ মিলিয়ন কেজির রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
২০১৯ সালে রেকর্ড ৯৬.০৬৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয় দেশে। অপর দিকে গত ২০২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৭.৭৮০ মিলিয়ন কেজি, যা গত বছরের অক্টোবরেই ছাড়িয়ে উৎপাদন হয়েছিল ৭৯.৩৩৩ মিলিয়ন কেজি। সে কারণে চলতি মৌসুমের চা উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সরকারের দেয়া নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে প্রতি বছর চা উৎপাদনে নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ।


জানা গেছে, বর্তমানে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড গ্রহণ করেছে নানামুখী কার্যক্রম। এই কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে প্রতিটি বাগানে প্রতি বছর কমপক্ষে আড়াই শতাংশ করে চা বাগান বর্ধিত করা আর সে জন্য উন্নত মানের চারা প্রদান এবং পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করায় প্রতি বছরই এখন চা বাগানের পরিধি ও উৎপাদন বাড়ছে। প্রতি বছর গড়ে প্রতি হেক্টরে চা উৎপাদন হয় ১ হাজার ৫০০ কেজি অপর দিকে সমপরিমাণ জমিতে ইস্পাহানি, ফিনলে, ডানকানসহ বেশ কিছু বাগানে ২ হাজার ৫০০ কেজি থেকে ৩ হাজার কেজি উৎপাদন ছাড়িয়ে যায়।
চা বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী দেশে নিবন্ধনকৃত ১৬৭টি এস্টেট ও চা বাগানে ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৬.৮৮ একরে চা উৎপাদন হয়ে আসছে। এর মধ্যে মৌলভীবাজারে ৭৬টি এস্টেট ও ১৫টি চা বাগান (১ লাখ ৫৬ হাজার ১৯১.৯৪ একর), হবিগঞ্জে ২২টি এস্টেট ও ৩টি চা বাগান (৫৪ হাজার ১৬৪.১৬ একর), সিলেটে ১২টি এস্টেট ও ৭টি চা বাগান (২৮ হাজার ৯৩৬.৩২ একর), চট্টগ্রামে ১৮টি এস্টেট ও ৩টি চা বাগান (৩৪ হাজার ৫৬০.৪৫ একর), রাঙ্গামাটিতে ১টি এস্টেট ও ১টি চা বাগান (৭৯৪.৯৪ একর), পঞ্চগড়ে ৮টি চা বাগান (৪ হাজার ৮১৮.২৯৫ একর) এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা বাগান (৪০.৭৭একর)।

 


আরো সংবাদ



premium cement