২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সহকারী প্রক্টরের অনৈতিক কর্মকাণ্ড তদন্তের দাবি শিক্ষক ফোরামের

-

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তদন্ত দাবি করেছে শিক্ষকদের একাংশ। জনির বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে তদবিরের জন্য একাধিক অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
গত শনিবার রাত ১১টায় ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান ও সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল আহসান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এসব তথ্য জানা যায়।


এতে উল্লেখ করা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অনৈতিক সম্পর্কের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থের বিনিময়ে নারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল ও নিয়োগে বেআইনি প্রভাব বিস্তার করেছেন বলে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওই একই শিক্ষক ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ক্ষুব্ধ জনতা কর্তৃক প্রহারের শিকারও হয়েছেন। এসব অভিযোগের সত্যতা থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় জন্য অসম্মানজনক হওয়ার পরও ওই শিক্ষককে বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে বহাল রেখে অসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে, যার দায় প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।’
যুক্ত বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘এসব অগ্রহণযোগ্য আচরণের মাধ্যমে শিক্ষকতার মহান পেশায় কালিমা লেপনের পাশাপাশি পুরো দেশের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।’


নেতৃবৃন্দ ভিসি অধ্যাপক নূরুল আলমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে একটি গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠন করে এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।’
এ ব্যাপারে ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ‘যদি ওই শিক্ষক দোষী হয়ে থাকে তাহলে তার চাকরিতে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লজ্জাকর ব্যাপার।’
প্রসঙ্গত, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক। সম্প্রতি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষিকা আনিকা বুশরা বৈচির সাথে তার অন্তরঙ্গ ছবি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দেয়ালে পোস্টারিং করা হয়। এ ঘটনার পরে জনির আরো বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যক্রমের চিত্র ফাঁস হয়। এ ছাড়াও মাহমুদুর রহমান জনি ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘জনির এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত থাকা ছাত্রলীগের জন্য বিব্রতকর। এটি নৈতিকতার চরম অবক্ষয়। এগুলো সত্য প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।’


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল