বাঁশখালী আনোয়ারা উপকূলে ৭৬৭ কোটি টাকার সুরক্ষা বাঁধের মধ্যেও ভাঙন আতঙ্ক
- পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
- ০৭ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও বাঁশখালী উপজেলায় ভাঙন প্রতিরোধে ৭৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৪টি প্যাকেজের কাজ চলমান রয়েছে। এতে দুই উপজেলার বিশাল এলাকা সুরক্ষিত হলেও বিস্তীর্ণ উপকূলের মানুষ ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। চলমান কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে অরক্ষিত অংশে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চলমান কাজের যেমন ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে তেমনি অরক্ষিত অংশ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চলমান কাজের মধ্যে আনোয়ারা উপকূলের ৩৮ প্যাকেজের কাজের অগ্রগতি ৮৫ ভাগ ছাড়িয়েছে। অপর দিকে বাঁশখালী উপজেলার ৩৬ প্যাকেজের সকল কাজ চলতি সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হওয়ায় উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা সুরক্ষিত হলেও এই দু’ উপজেলার অধীন বেশ কিছু এলাকার মানুষ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। জানা গেছে, ওই দু’উপজেলার অবশিষ্ট অরক্ষিত অংশ সুরক্ষায় প্রায় ১২৫৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরে নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে, যা এখন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত কয়েক দিন সরেজমিনে এ দুই উপজেলার উপকূলে গিয়ে দেখা গেছে, উপকূলের যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়েছে, সেখানকার মানুষের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক না থাকলেও অরক্ষিত উপকূলবাসীর মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বাবু প্রকাশন চাকমা বলেন, আনোয়ারা ও বাঁশখালীর অরক্ষিত অংশের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে নতুনভাবে প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের মধ্যে আনোয়ারা বাঁশখালী নদী এলাকার ৭.১৩ কিলোমিটার, সাগরের অংশে ৯.২৬৫ কিলোমিটার। মেরামত রয়েছে ২১.৯৪ কিলোমিটার, খাল পুনর্খনন রয়েছে ৮০.৩৩৬ কিলোমিটার, রেগুলেটর নির্মাণ রয়েছে ৫টি, সাঙ্গুনদীর বাঁশখালী তৈলার দ্বীপ থেকে আনোয়ারা জুঁইদন্ডি পর্যন্ত ৭.৩৬ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং ছাড়াও বাঁশখালী প্রেমাশিয়া এলাকায় একটি লুপকার্ট করার কাজ রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব জানিয়েছেন, আনোয়ারা অংশে কাজের সাবিক অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ এগিয়েছে। অবশিষ্ট কাজ আগামী জুনের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ্জমান খান বলেছেন বাঁশখালী এখন সুরক্ষিত। অরক্ষিত অংশের ভাঙন প্রতিরোধ কাজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে যা এখন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদর দফতরে রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা