সব জিনিসের দাম বাড়লেও আ’লীগের কমছে : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায় বলেন, ঢাকার বাজারে যে কচুর দাম ৮০ টাকা সেটা কিশোরগঞ্জের বাজারে ৩০ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়ছে। তবে এর পাশাপাশি একটি জিনিসের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে সেই জিনিসটার নাম মনে হয় আওয়ামী লীগ। তাদের দাম প্রতিদিনই কমছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি সঙ্কটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর রায় বলেন, লোহা-লক্কর-স্ক্র্যাপ প্রভৃতি জিনিস নিলামে বিক্রি হয়, যা ব্যবহারযোগ্য না। সেখানেও শত শত লোক নিলাম ডাকতে বসে। কিন্তু আজকে যদি আওয়ামী লীগের নিলাম হয় আমার মনে হয় এটা কেউ কিনবে না। তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন (এ কে আব্দুল মোমেন) বলেছেন, ভারতকে বলেছি, আমাদেরকে সরকারে রাখতে। অর্থাৎ ভারত তাদেরকে রাখবে কি না এটা নিয়ে সংশয় আছে বলেই এ কথা মোমেন বলেছেন। সম্পর্ক যদি স্বামী স্ত্রীর হয় সেখানে তালাকের আশঙ্কা আছে। যদি না থাকে তাহলে মোমেন সাহেব এ ধরনের উক্তি কেন করবেন? তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রের কথা, রাজনীতির কথা, দেশের মান-সম্মানের কথাটুকু চিন্তা না করে যে ধরনের উক্তি করেন, তাতে আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করার কোনো অবকাশ থাকে না। নির্বাচনে প্রার্থীর চিন্তা বাদ দিয়ে নেতা-কর্মীদের ‘রাজপথ দখলে’ মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি, রাজপথ দখল করতে হবে। কিন্তু অনেকেই সেই কথামতো উদ্যোগ গ্রহণ করে সবাইকে সংগঠিত করতে পারছি না। এটা কিন্তু আমাদের একধরনের ত্রুটি। সেই ত্রুটি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। তিনি বলেন, আমি মুখে বলছি, নির্বাচন করব না। আমাকে বলতে হবে আমি যেটা বলি সেটা যে আমার মনের কথা সেটা কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে, মানুষকে আস্থায় আনতে হবে। আমার রাজনৈতিক জীবনে যতদিন ধরে আওয়ামী লীগকে চিনি ততদিন ধরে বলি, আওয়ামী লীগ যা বলে তা করে না, যা করে তা বলে না। সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সেলিম, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ইসমাইল হোসেন তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।