১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`
গেট ও ওয়েটিং রুম নির্মাণে অনিয়ম

দুই দফা কমিটি করেও সিভিল এভিয়েশনের তদন্ত শেষ হচ্ছে না

-

দুই দফা কমিটি করেও শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের গেট ও ওয়েটিং রুম নির্মাণে দুর্নীতির তদন্ত। প্রথমে গঠন করা তদন্ত কমিটি অদৃশ্য কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম ও তাদের বিভিন্ন অনিয়ম আড়াল করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় আবারো দ্বিতীয় দফায় তদন্ত কমিটি করা হয়। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও শেষ হচ্ছে না তাদের সেই তদন্তকাজও।
জানা গছে, গেট ও ওয়েটিং রুম নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে ২০২০ সালের শেষের দিকে প্রথম তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয় ব্যয়বহুল গেটটির জন্য কোনো স্থপতি কর্তৃক নকশা প্রণয়ন করা হয়নি। কাজটির মূল উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা বিধান করা। কিন্তু সে বিবেচনায় উপযুক্ত মনে হয়নি। সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত আইটেম ব্যবহার না করে কোটেশনের মাধ্যমে উচ্চতর বাজার দরে সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যানুফ্যাকচারিং, সাপ্লাইয়িং অ্যান্ড ইন্সটলেশন অব ইংলিশ অ্যান্ড বাংলা লেটারিংয়ের কাজে প্রতিটি অক্ষরের জন্য তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়। যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। আইটেম ১৪ (এফ) ও ১৪ (জি) এর দর বিশ্লেষণে ব্যবহৃত ৫০ এম এম ডায়া এসএস পাইপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা লেটারিং এবং বিভিন্ন সাইজের বল স্থাপনের কাজে ১ হাজার ৪৮৩টি উল্লেখ থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র ৫২৮টি। তা ছাড়া এগুলোর বাজার মূল্য বেশি দেখানো হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, এক কোটি ১৭ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করা সম্ভব ছিল। এ ক্ষেত্রে সরকারের ৫৩ লাখ টাকার অনিয়ম করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটি গ্রহণ না করে দ্বিতীয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। যারা দেড় বছরেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারছে না।
বেবিচকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গেট ও ওয়েটিং নির্মাণের দায়িত্বে ছিল তানভীর ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নাজমুল আলম ওরফে খুররম। অথচ তাকে বাদ দিয়ে কমিটি তাদের তদন্তকাজ শেষ করেছে। এ বিষয়ে নাজমুল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

 


আরো সংবাদ



premium cement