২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বন্যপ্রাণীর স্বার্থে বন রক্ষার তাগিদ পরিবেশবাদীদের

-

হাতি সংরক্ষণ এবং নিধন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বন্যপ্রাণীর স্বার্থে বন রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। তারা বলছেন, দেশে অবাধে হাতি নিধনের কারণে কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক হাতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছর পর চিড়িয়াখানা ছাড়া দেশের আর কোথাও হাতির অস্তিত্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে গতকাল আয়োজিত ওয়েবিনারে এ দাবি জানানো হয়। ৩৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের জোট ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’ এর আয়োজন করে। এতে হাতি সংরক্ষণে হাতি নিধন ও হাতির আবাসস্থল রক্ষায় গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, হাতিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আগে বন রক্ষা করতে হবে। দেশে বন, সংরক্ষিত বনাঞ্চলসহ সকল প্রকার বন ধ্বংস হচ্ছে বলে প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হাতিসহ বিভিন্ন প্রাণী।
‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’-এর আহ্বায়ক এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা।
জোটের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজের পরিচালনায় এ ওয়েবিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (সিজিইডি) নির্বাহী পরিচালক আবদুল ওয়াহাব, নোঙরের চেয়ারম্যান সুমন শামস, পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. মাহমুদা পারভিন, বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ, ন্যাচার লাভিং পিপলের (এনএলপি) সভাপতি এহসানুল হক জসীম, এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ, মেরিন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (এমজেএন) সাদিয়া চৌধুরী, আমিনুল মিঠু, শহীদ হাসান খান, নয়ন সরকার, আলমগীর হোসাইন, স্বপন কুমার নাথ প্রমুখ।
বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আগামী দিনে হাতি সংরক্ষণ না করলে এবং মানুষের হাতে হাতি নিধন বন্ধ করতে না পারলে বিশাল দেহের ডাইনোসরের মতো হাতিও এক সময় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটা হতে দেয়া যাবে না।
গুলশান আর লতিফা বলেন, এশিয়ান হাতির একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা সহজে কাউকে আঘাত করে না। কিন্তু এখন তারা পাশবিক অত্যাচারের শিকার। একসময় হাতিরঝিল ও পিলখানায় হাতি দেখা যেত, হাতিরঝিল থেকে পিলখানায় হাতি নেয়া হতো যতœ করার জন্য। কিন্তু আজ আর সেই হাতি দেখা যায় না। হাতি কমতে কমতে দেশে হাতির এই সংখ্যা এখন প্রায় দুই শতাধিকে নেমে এসেছে।
হাতি সংরক্ষণে জোর দিয়ে তিনি বলেন, হাতি রক্ষা করতে হলে হাতির আবাসস্থল সংরক্ষণ করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে সংরক্ষিত বন তৈরির মাধ্যমে হাতি সংরক্ষণ করতে হবে। বন-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলেও হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হচ্ছে উল্লেখ করে গুলশান আরা লতিফা বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের সময় আমাদের বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, হাতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্যপ্রাণী। হাতিসহ সব ধরনের বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে হলে আমাদেরকে আগে বনাঞ্চল রক্ষা করতে হবে। দেশে বন থাকলে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণী থাকবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মোদি কি হিন্দু-মুসলমান মেরুকরণের চেনা রাজনীতিতে ফিরছেন? টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ ফুলগাজীতে ছাদ থেকে পড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু দোয়ারাবাজারে শিশু হত্যা মামলার আসামিসহ গ্রেফতার ২ কাউখালীতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু চুয়েট শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান অব্যাহত, ঘাতক বাসচালক গ্রেফতার তামাক পণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের দাবিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে ২৫ সংসদ সদস্যের চিঠি প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে মহিষের আক্রমণে বাবা-ছেলেসহ আহত ৪ গফরগাঁওয়ে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার তীব্র মাত্রায় হিংস্র হয়ে উঠেছে সরকার : মির্জা ফখরুল মিরসরাইয়ে মৃত্যুর ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তার কবর থেকে লাশ উত্তোলন

সকল