পূর্বাচলে মাদরাসা ও এতিমখানার প্লট দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন
- পূর্বাচল সংবাদদাতা
- ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে মসজিদ ও মাদরাসাসহ এতিমখানার জমি ব্যক্তিগতভাবে দখল করে বসবাসকারী সন্ত্রাসী এবং ভূমিদস্যু জহির উদ্দিন মুন্সি ও সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল দুপুরে পূর্বাচলের ২০ নম্বর সেক্টর এলাকায় হেলিপ্যাড চত্বরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া স্থানীয়রা জানান, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের আবাসিক এলাকায় জালিয়াত চক্রের মূল হোতা গোবিন্দপুরের বাসিদা জহির উদ্দিন মুন্সি ও তার ছেলে সালাউদ্দিন দীর্ঘ দিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা ব্যক্তিকে জমি বিক্রি প্রসঙ্গে ঠকিয়ে আসছে। কখনো জমি দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ আবার কখনো একই জমি একাধিক ব্যক্তির কাছে বায়না করাসহ নানারকমভাবে প্রতারণা করে আসছে। তাদের এমন দুঃসাহসী প্রতারণার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলার সাহস পাচ্ছে না। বক্তারা আরো জানান, সালাহ উদ্দিন পূর্বাচলের সেক্টর-২০, রোড- ৪০১/বি, ০৯, ১১, ১২, ১৪ নম্বর প্লট বিক্রির কথা বলে আলীম ও আজিজদ্বয়ের সাথে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে। সেই মোতাবেক বিক্রি বাবদ টাকা গ্রহণ করে বায়না স্ট্যাম্প দলিল মূলে সালাউদ্দিন রাজউকের নকশা অনুমোদনসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্লটের দখল বুঝিয়ে দেয়। জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার কথা বলে জমি বাবদ গত ১২/৩/২০২২ ইং থেকে ২৯/১২/২০২২ইং তারিখে ইনস্টিটিউট থেকে একাধিক ব্যাংক চেক, ব্যাংক ডিপোজিট, পে-অর্ডারের মাধ্যমে এবং নগদ মোট ৭৭,৫৮৯,৮২০ (সাত কোটি পঁচাত্তর লাখ ঊননব্বই হাজার আটশত কুড়ি) টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে দখল বুঝে পেয়ে ক্রেতারা এক কোটি সত্তর লাখ টাকা খরচ করে ভবন নির্মাণ করে। কিন্তু ওই জালিয়াতচক্র রেজিস্ট্রি করে দেয়ার পরিবর্তে ওই জমি থেকে ক্রেতাদের উৎখাত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
বক্তাদের মধ্যে নাহিদ হাসান বলেন, সালাহউদ্দিন প্রতারণা করার উদ্দেশ্য জমি বিক্রির চুক্তিপত্রে নিজের শাশুড়ির ভুল এনআইডি কার্ড নম্বর লিখেছেন। শুধু তাই নয়; তিনি জমি বিক্রি বাবদ টাকা গ্রহণের পর আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে এতদিন বিদেশে আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দেশে এসে আব্দুল আজিজ ও তার ভাই আব্দুল আলিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন ওই জায়গার দখল ছেড়ে দেয়ার জন্য।
এ ছাড়াও সালাউদ্দিন পূর্বাচল প্রকল্পে তার মালিকানা ১০২ শতাংশ জমি নগদ তিন কোটি সত্তর লাখ টাকা গ্রহণ করে সাবকাবলা দলিল রেজিস্ট্রেশন করে দিলেও একই জমি জমি তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির কাছে ১০ কোটি টাকা মূল্যের রেজিস্ট্রি বায়না নেয়। ফলে প্রতারণার শিকার তরিকুল বাদি হয়ে সালাউদ্দিনের নামে মামলা করেছেন।
বক্তারা আরো জানান, সালাউদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ ওই জমিতে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পরিবহনের কাজে নিয়োজিত বাস ভাঙচুর করে। নিরাপত্তা কর্মীসহ অফিস স্টাফ নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে সালাহউদ্দিনের নিয়োজিত সন্ত্রাসীরা। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেছে ভুক্তভোগীরা। এ সময় প্রতিবাদকারীরা পিতা ও পুত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। এ দিকে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ বলেন, আমাদের মালিকানাধীন ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট (এনপিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতাদের অর্থিক সহযোগিতায় তৈরি মাদরাসা, ইনস্টিটিউট, এতিমখানা এবং মসজিদের জায়গায় জোর করে পরিবারপরিজন নিয়ে বসবাস করছে জহির উদ্দিন এবং সালাউদ্দিন গং-এর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজন। এ বিষয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানা ও নারায়ণগঞ্জ আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা