২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট নিয়ে সিসিক ও কারা কর্তৃপক্ষ মুখোমুখি

-

সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ধোপাদিঘী। দখল-দূষণে হারিয়ে যাওয়া এই দিঘীটি উদ্ধার করে ভারত সরকারের অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে তৈরি করে সিলেট সিটি করপোরেশন। দিঘীতে একাধিক ঘাট স্থাপনসহ বসানো হয় ল্যামপোস্ট। গত মাসে সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীসহ ভারতীয় হাইকমিশনার ওয়াকওয়েটি উদ্বোধন করেন। এরপর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে এই নান্দনিক ওয়াকওয়ে দেখতে। প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যায় ওয়াকওয়েতে ভিড় হতো নানা বয়সী মানুষজনের।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ধোপাদিঘীপারে নান্দনিক ওয়াকওয়ের ল্যাম্পপোস্ট খুলে ফেলে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ওয়াকওয়েতে ছুটে আসেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সকালে হঠাৎ করে কারা পুলিশ এসে ওয়াকওয়ের ল্যামপোস্ট ভাঙচুর করে। এখানে কাজে থাকা শ্রমিকরা বিষয়টি আমাদেরকে জানালে দ্রুত চলে আসি। আমি বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ধোপাদিঘীপার সংলগ্ন কিছু জায়গা কারা কর্তৃপক্ষের আওতাধীন। সিটি করপোরেশন যদি কারা কর্তৃপক্ষের জায়গায় কোনো স্থাপনা তৈরি করতে চায় সে জন্য অনুমতি নিতে হবে। আমাদের সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ এখনো কিছু আসামি কারাগারে আছে। কারাগারে কার্যক্রম চলমান আছে। এখানে কোনো স্থাপনা তৈরি করতে হলে অবশ্যই সরকারের অনুমতি তো লাগবে। এখন হয়তো কোনো খুঁটি সিসিক স্থাপন করেছে সে জন্য কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।
তিনি বলেন, কারা পুলিশের কোনো সদস্য ল্যামপোস্ট ভাঙচুর করেনি। পরে মেয়রের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান হয়েছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement