২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধ উঁচুকরণের কাজ চলছে ঢিমেতালে

-

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে হুমকির মুখে পড়া উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ উঁচুকরণের কাজ চলছে ধীর গতিতে। এ কারণে হুমকির মুখে পড়তে বসেছে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়াা মানুষের জীবন-জীবিকা।
উপকূলীয় এলাকা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে জানা গেছে, গত দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ উঁচু করার কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে উপজেলার লতাচাপলী-ধুলাসার দুই ইউনিয়ন এবং কুয়াকাটা পৌরসভার ৪৮ নম্বর পোল্ডারের ৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ উঁচুকরণ ও পনঃনির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু বেড়িবাঁধ উঁচুকরণের কাজ দ্রুত না করায় মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকবর ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও সিডরের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ ও বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভাঙনের মুখে পড়ে। বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হলেও সাগর মোহনায় আন্ধারমানিক নদীর অস্বাভাবিক উচ্চতার জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলের নদ-নদী ও বেশির ভাগ সরকারি খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এসব অঞ্চলের দুর্ভোগ এখন সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৮ নম্বর পোল্ডারের অনন্তপাড়া ব্রিজ থেকে লতাচাপলী হয়ে আলীপুর বাজার পর্যন্ত কুয়াকাটাগামী বিকল্প ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সড়ক এলজিইডি সড়ক করে অনেক আগেই। বর্তমানে ওই বেড়িবাঁধটির উচ্চতা রয়েছে সমুদ্র থেকে পাঁচ দশমিক ১৮ মিটার, যা সাত দশমিক পাঁচ মিটার করা হবে। বাড়বে প্রস্থও। এ জন্য উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ শেষ হলেই ওই বাঁধের উপর এলজিইডি পাকা করতে পারবে। ২০২০ সালের জুন মাসে সব কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের ধীরগতির কারণে সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের স্লুইসগুলোর নির্মাণ ও মেরামত কাজ শেষের পথে। এডিবির অর্থায়নে ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নয়ন কাজটি করছে কঙ্গম ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন (সিকো)। সিইআইপি-১ প্রকল্পের আওতায় করা হচ্ছে কাজটি। এডিবির অর্থায়নে এ পোল্ডারের ৩৮.০৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ উঁচুসহ পুনারাকৃতিকরণের কাজ হবে।
তবে কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে মানুষের। অনেক স্পটে মাটির বদলে বালু দেয়া হচ্ছে এবং কান্ট্রি সাইটের স্লোপ ডিজাইনমাফিক করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করছেন অনেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement