আর্মি আইবিএ : সম্ভাবনাময় এক ইনস্টিটিউট
- ২৪ মে ২০২২, ০১:৫৮
ব্যবসায় ও অর্থনৈতিক খাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বাড়ছে ব্যবসায়িক কার্যক্রম।
ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি যত বাড়ছে, তার সাথে বাড়ছে কর্মসংস্থানও। বর্তমান সময়ে দেশী আর বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষা লাভ করা শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দেয়ার চাহিদা যে অন্য বিষয়গুলোর তুলনায় বেশি তা সহজেই অনুমেয়। এ কারণে ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষা নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে সমানভাবেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট বা ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (আইবিএ) উচ্চশিক্ষা গ্রহণের আগ্রহও বাড়ছে। আর্মি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আর্মি আইবিএ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা ব্যবসায় প্রশাসনে উচ্চশিক্ষার এই ইনস্টিটিউটটি সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অধিভুক্ত।
চায়ের দেশে সেনানিবাসের সবুজের সমারোহে নিরাপদ এই ক্যাম্পাসে নেই কোনো সেশনজট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান থাকায় সুশৃঙ্খল এই ইনস্টিটিউট হয়ে উঠেছে মেধাবীদের আগ্রহের জায়গা। শুধু ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাই নয়, শিক্ষার্থীদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার কথা চিন্তা করে রাখা হয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চিকিৎসার ব্যবস্থা।
একটি সুষ্ঠু নির্বাচনপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে সেরাদের ভর্তি করা হয়। চার বছরের বিবিএ প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ফাইন্যান্স, অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম , মার্কেটিং, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, অপারেশন ম্যানেজমেন্ট এবং হিউমেন রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের মধ্যে যেকোনো বিষয় মেজর হিসেবে বেছে নিতে পারবেন।
মাত্র কয়েক বছরের যাত্রাপথে ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল, চলছে একাধিক গবেষণার কাজ। রয়েছে আইএসএসএন এবং ই-আইএসএসএন প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ জার্নাল ‘জালালাবাদ পেপার্স’। মেধাবীদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের বৃত্তিসুবিধাও।
আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহারিক জ্ঞানের চেয়ে তাত্ত্বিক জ্ঞান শেখানোর দিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়ার নজির মেলে। আর্মি আইবিএ এদিক থেকে একদমই ব্যতিক্রম। কারিকুলামের অংশ হিসেবেই শিক্ষার্থীদের করতে হয় ফিল্ড ওয়ার্ক, অসংখ্য প্রেজেন্টেশনসহ নানা ধরনের অ্যাসাইনমেন্ট। বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানে ভিজিট করে অ্যাসাইনমেন্ট করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। সেই সাথে হয়ে যায় ইতোমধ্যেই বিভিন্ন খাতে থাকা পেশাজীবীদের সাথে পরিচয়, করপোরেট দুনিয়ায় যাকে বলে নেটওয়ার্কিং। এর ফলে বিবিএর শেষ দিকে ইন্টার্নশিপ পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হয় না শিক্ষার্থীদের। ইন্টার্নশিপ পেতে সহায়তা করা হয় প্রতিষ্ঠান থেকেও।
পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষাকার্যক্রমের সুযোগও বিস্তৃত। ব্যবসায়, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, ফটোগ্রাফি, বিতর্কের মতো নানা বিষয়ে জোর দিয়ে রয়েছে আলাদা আলাদা ক্লাব। সারা বছর ক্লাবগুলো নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন গতানুগতিক পড়াশোনার বাইরে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা। বাস্তবমুখী পড়াশোনার সাথে শিক্ষাজীবনে হওয়া নেটওয়ার্কিং আর বিভিন্ন নামীদামি করপোরেটে ইতোমধ্যে কর্মরত অ্যালামনাইদের সহযোগিতায় এখান থেকে পাস করার পর নেহাত নিজের অনিচ্ছা ছাড়া কাউকে খুব বেশিদিন বেকার থাকতে দেখা যায় না।
চলতি বছরের ১৫ জুন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সামনের শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমের আবেদন গ্রহণ চলবে। জয়েন আর্মি আইবিএ ডটকম (লড়রহধৎসুরনধ.পড়স)-এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করলেই প্রয়োজনীয় সব তথ্য পেয়ে যাবেন ভর্তি ইচ্ছুকরা। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা