২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাগর ও নদীবেষ্টিত বাঁশখালীর ১৩০ কিলোমিটার এখনো অরক্ষিত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুরের ভাঙনকবলিত বিস্তীর্ণ এলাকা : এস এম রহমান -

১৪২ কিলোমিটার সাগর ও নদী বেষ্টিত চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ১৩০ কিলোমিটারেরও বেশি বিস্তীর্ণ উপকূল এখনো অরক্ষিত রয়েছে গেছে। এ কারণে বর্ষা ঘনিয়ে এলে উপকূলের হাজার হাজার অসহায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
পর্যাপ্ত বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ১৯৯১’র ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে এ উপজেলার অন্তত অর্ধলাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ওই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পরে কিছু কিছু এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও কার্যত তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফলে পুরো বাঁশখালী উপকূল হয়ে পড়ে অরক্ষিত। পরে বাঁশখালীর এমপি আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর একান্ত প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে বাপাউবো পুনরায় বাঁশখালী উপকূল সুরক্ষায় ২৯৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় ও ১১ কোটি ২৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় পৃথক আরো কাজ শুরু করে এরমধ্যে পুঁইছড়ির অংশের কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে অবশিষ্ট কাজ চলমান রয়েছে। এতে সাগর উপকূলে ৯.৯ মিটার শঙ্খ নদী সনুয়া ও জলকদর খালের মাত্র ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করে যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্যাকেজের কাজের অগ্রগতিও সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বাপাউবোর এ উদ্যোগের ফলে উপকূলের মানুষ নতুন ভাবে আশার আলো দেখতে শুরু করে।
পরবর্তীতে চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী একান্ত প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ কর্তৃক ১ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকায় সম্পূর্ণ অরক্ষিত উপকূল সুরক্ষায় নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করেন। উপকূলবাসী নতুনভাবে গৃহীত প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চান। নতুনভাবে বা পাউবো কর্তৃক প্রণয়নকৃত ৩৬ প্যাকেজগুলো হলো, মধ্যে সাংগু নদীর বাম তীর পুকুরিয়া, সাধনপুর, খানখানাবাদ ইউনিয়নের অবশিষ্ট ৪.৯৫ কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, জলকদর খালের সাংগুর মুখ থেকে ১৭ কিলোমিটার খনন, জলকদর ও সনুয়ার ৮০.৯৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পুনর্গঠন উভয় তীর। ২৫.৭৬ টেকসই বেড়িবাঁধ, পুঁইছড়ি, ফুটখালী, চাম্বল ও গন্ডামারার পূর্ববড়ঘোনায় ৪টা স্লুইচ গেট নির্মাণ, পুঁইছড়ি ও নাপোড়া ছড়ার ওপর দুইটি রাবার ডেম নির্মাণ, পুঁইছড়ি ও সনুয়ার লবণ চাষীদের সুবিধার্থে ৬টি আউটলেট ইনলেট নির্মাণ। উপজেলা ২৭টি খালের ৩১ কিলোমিটার ভরাট অংশ খনন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৫০ টি স্লুইচ গেট পুনর্নিমাণ কাজ রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর নাহিদুজ্জামান খান বলেন, নতুন প্রণয়নকৃত কাজের নকশা বা ডিজাইন অনুমোদন হয়েছে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহীত প্রকল্পগুলোর আলোর মুখ দেখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement