২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে ছড়িয়ে দিতে হবে : কৃষিমন্ত্রী

-

প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বসে না থেকে, তা দ্রুত মাঠে ছড়িয়ে দিয়ে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে বিজ্ঞানী, গবেষক, কৃষি সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, আগামী বোরো, আউশ, আমন মৌসুমে দেশের কোথায় কতটুকু জমিতে আবাদ করতে চাই, দ্রুত তা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা এবার বোরোতে ব্রিধান ৮৯ ও ৯২ এবং আমনে বিনা-১১ দেশের কৃষকেরা যা উৎপাদন করবে, সবটুকু বীজ হিসেবে বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনে নেব। যাতে বীজ সঙ্কট না হয়। প্রয়োজনে নতুন জাত ও শস্যবিন্যাস গ্রহণকারী চাষিদেরকে বিনামূল্যে বীজ দেয়া হবে, সারের দাম আরো কমিয়ে দেয়া হবে। যেভাবে সম্ভব আপনারা প্রযুক্তিকে কৃষকের কাছে নিয়ে যান ও কৃষকদের উৎসাহিত করুন।
গতকাল সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিএআরসির অধীন এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোর যাচাই কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ক্রাশ প্রোগ্রাম বা সময়াবদ্ধ সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে এসব জাত ও প্রযুক্তিকে মাঠে ছড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সম্প্রতি ধানসহ বিভিন্ন ফসলের অনেক উন্নতজাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে। যেমন-ব্রি উদ্ভাবিত ৮৯ ও ৯২ বোরো জাতের ধানের উৎপাদন প্রতি শতাংশে প্রায় ১ মণ। বিনা-১১ আমনের স্বল্পজীবনকালের ধান উদ্ভাবন করেছে। ফলে আমন ও বোরো মৌসুমের মাঝের সময়ে সরিষা আবাদ সম্ভব হচ্ছে, এটি একটি অতিরিক্ত ফসল ও নতুন শস্যবিন্যাস। লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন হয়েছে। উপকূলে প্রায় দুই মিলিয়ন হেক্টর লবণাক্ত জমি রয়েছে। সেখানে লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের চাষ করে বছরে ২টা ফসল করা সম্ভব।
ধান উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, এ বছর দেশে চালের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে।
বর্তমানে চালের সরকারি মজুতও সর্বকালের সর্বোচ্চ। তারপরও চালের দাম বাড়ছে, বিশেষ করে সরু চালের দাম। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা হুমকির সম্মুখীন। অন্য দিকে, দেশে ১০ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রতি বছর ২২-২৪ লাখ নতুন মুখ যোগ হচ্ছে। অ্যানিমেল ফিড হিসেবেও চালের কিছু ব্যবহার হচ্ছে। মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এসব মিলে চালের চাহিদা ও কনজামশন দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায়, খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে টেকসই করতে হলে নতুন উদ্ভাবিত ধানের উন্নত জাত ও প্রযুক্তিকে মাঠে ছড়িয়ে দিয়ে আরো বেশি ধান-চাল উৎপাদন করতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, ‘দেশে ৫০ বছর নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য কোনো আইন ছিল না। বর্তমান সরকার সেই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিচ্ছে। অথচ একদল বুদ্ধিজীবী- বিশেষজ্ঞ বলছে তড়িঘড়ি করে আইন করলে ভালো হবে না। আমি তাদের বলব, আইনের দুর্বলতা কোথায়, সমস্যা কোথায়-সেটি আপনারা দ্রুত তড়িঘড়ি করে বের করেন ও তুলে ধরেন। সময় কম-এ অজুহাত না দিয়ে আইন প্রণয়নে গঠনমূলক মতামত প্রদান করুন’। কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএআরসির অধীন এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় ৪১টি প্রযুক্তি নির্বাচন করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement