২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাজার কোটি টাকা বাড়তি চেয়ে শিল্পসচিবের চিঠি

-

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাকি সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের বাড়তি এক হাজার ২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা চেয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ওই বাড়তি বরাদ্দসহ মোট ২ হাজার ২২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হলে চলমান ৩৩টি প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা গত ১২ জানুয়ারি চিঠিতে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের সদস্যকে (সচিব) জানান।
পরিকল্পনা কমিশনের সচিব ও কার্যক্রম বিভাগের সদস্য (সচিব) প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীকে দেয়া চিঠিতে শিল্পসচিব লিখেছেন, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ৩৩টি প্রকল্প চলমান আছে। এইসব প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় বা স্থানে ১৩টি ও ৩৪টি বাফার গোডাউন নির্মাণ, বিসিক কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক-মুন্সীগঞ্জ, রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ-টঙ্গী, অস্থায়ী ভিত্তিতে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম নির্মাণ এবং বিসিক শিল্প পার্ক সিরাজগঞ্জ প্রকল্প।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে চলমান ৩৩টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট চার হাজার ৬৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে জিওবি এক হাজার ২০৩ কোটি টাকা, সংস্থার নিজস্ব ৪৬ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৯১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। প্রকৃতপক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি অনুমোদিত প্রকল্পের অনুকূলে চলতি অর্থবছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা বেশি হবে। পাশাপাশি চলতি অর্থবছর ৯টি প্রকল্প সমাপ্ত হবে। মূলত সমাপ্ত প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চলমান প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন বলে শিল্প সচিব জানিয়েছেন।
শিল্প সচিব বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের চলমান ৩৩টি প্রকল্পের অনুকূলে মধ্যমেয়াদি বাজেটারি কাঠামোর (এমটিবিএফ) আওতায় চলতি অর্থবছর জিওবি খাতে মোট এক হাজার ২০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। কিন্তু প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে জিওবি অংশে মোট ২ হাজার ২২৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় গত অর্থবছর সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দের জিওবি অর্থের ৯২.৭৬ শতাংশ ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছর আরএডিপিতে বরাদ্দের ৯৯.৩০ শতাংশ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছর ৯৯.১৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর পাঁচ মাসে শিল্প মন্ত্রণালয়ের এডিপির বাস্তবায়ন হার ছিল ৪৫ দশমিক ৪০ শতাংশ বা এক হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আর জিওবি খাতে ৪০২ কোটি ৬১ লাখ টাকা ৩২ দশমিক ৮৯ শতাংশ বলে আইএমইডির সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য থেকে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement