২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বৈধ ইটভাটা মাত্র ৫৬ ভাগ

দেশের বিভিন্ন ভাটায় অবৈধভাবে ইট পোড়ানো অব্যাহত

-

বিগত বছরগুলোর মতো চলতি মৌসুমেও পরিবেশ অধিদফতরের পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং জলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই দেশের বিভিন্ন ভাটায় অবৈধভাবে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতর বিভিন্ন সময় বেশ কিছু অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপতুল। ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত বৈধভাবে আমদানিকৃত কয়লা অত্যন্ত নিম্নমানের ও উচ্চ সালফার যুক্ত। এ সালফার মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। ইট পোড়াতে নিম্নমানের কয়লা ব্যবহার করায় সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক বায়ুদূষণ। এভাবে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ পরিবেশ বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর কলাবাগানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত ইটভাটার বর্তমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার সাধারণ সম্পাদক ও পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ-এর সাবেক কর্মকর্তা প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ ও গ্রিনফোর্সের সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশে বর্তমানে ইট পোড়ানো মৌসুম চলছে। অপরিকল্পিত ও অবৈধ ইটভাটা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, লোকালয় ও বনাঞ্চলের আশেপাশে, পাহাড়ের পাদদেশে এবং দুই বা তিন ফসলি কৃষি জমিতে ইটভাটা পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও অনেক ইটভাটায় সরকার নির্ধারিত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে পরিবেশগত বিপর্যয়সহ জীববৈচিত্র্য ও জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান তার সার্বিক পর্যালোচনায় বলেন, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ পরিবেশ বিপর্যয় ও জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে। দেশে গাছ লাগানো আজ একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আমরা তার কাক্সিক্ষত সুফল পাচ্ছি না। এর অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ইটভাটায় নির্বিচারে কাঠ পোড়ানো। আধুনিক, পরিবেশ বান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার, নির্ধারিত মাত্রার সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার, জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা এবং সংশ্লিষ্ট আইন যথাযথভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে ইটভাটা সৃষ্ট দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, বন অধিদফতর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ম্যাজিস্ট্রেসি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ইটভাটা সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে ভাটার মালিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement