২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ই-জুডিশিয়ারি ও ই-ফাইলিং চালু হলে ৫ বছরের মধ্যে মামলার জট থাকবে না : প্রধান বিচারপতি

-

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আমাদের মুক্তি হলো ভার্চুয়াল কোর্টে। ই-জুডিশিয়ারি ও ই-ফাইলিং চালু হলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মামলার জট থাকবে না। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এতে আরো বক্তব্য রাখেনÑ আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো: গোলাম সারওয়ার ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলাম। সে সময় বলেছিলাম, সারা পৃথিবীতে কোর্ট চলছে। বাংলাদেশে শুধু কোর্ট চলছে না। তখন প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন ভার্চুয়াল কোর্ট করেন। ‘ভার্চুয়াল কোর্টের আইন করা যে কত কঠিন। সেই আইন আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করেছি। এ জন্য আমি আইনমন্ত্রী, বিচারপতি ইমান আলী ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীকে ধন্যবাদ দেবো। আমরা সবাই বসে ভালো করে দেখেছি। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে তার পরে আমরা আইনটা চূড়ান্ত করেছি। তিনি বলেন, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে আমার যে উত্তরসূরি আসবে তিনি যদি এটা করেন, বিচার বিভাগে একটা বিপ্লব ঘটে যাবে। আমাদের মুক্তি হলো ভার্চুয়াল কোর্টে। এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যে জায়গায় যাচ্ছে, শুধু মুখে কথা বলবেন, লেখা হয়ে যাবে; কষ্ট অনেক কমে যাবে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন জায়গায় যাবে যে জুডিশিয়ারিতে কোনো পেন্ডিং মামলা থাকবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল আর্কাইভিং এবং ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনা বিচার বিভাগের ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়াকে বেগবান করবে। বিচার বিভাগে বিচারপ্রার্থীর একসেস টু জাস্টিস নিশ্চিতকরণ ত্বরান্বিত করবে; মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারপ্রাপ্তির অধিকারকে অব্যাহত রাখতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিচার বিভাগের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। ই-জুডিশিয়ারি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারা দেশের সব আদালতে ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে মামলা করা হলে বিচারপ্রার্থী জনগণ ও আইনজীবীদের সাথে আদালতের প্রত্যক্ষ সংযোগ স্থাপিত হবে এবং বিচার প্রক্রিয়ার শুরুতেই বিচারপ্রার্থী জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে। সুপ্রিম কোর্টে ডিজিটাল ফাইলিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব মামলা সংশ্লিষ্ট ফাইল দ্রুততার সাথে অনলাইনে দায়ের, গ্রহণ ও অনুমোদন করা যাবে। ফলে সাশ্রয় হবে আদালতের কর্ম-ঘণ্টার। তা ছাড়া বিচারপ্রার্থীর বিচারপ্রাপ্তির অধিকার অধিকতর স্বচ্ছ, দ্রুত এবং সহজলভ্য হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল