১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভেড়ামারায় ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক, ফলনেও খুশি

ভেড়ামারায় মাঠ থেকে ধান কেটে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষক : নয়া দিগন্ত -

আমন ধানে নবান্ন উৎসবকে ঘিরে কৃষকের চোখে মুখে এখন হাসির ঝিলিক। মাঠ থেকে পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ততার শেষ নেই। বাতাসে পাকা ধানের মিষ্টি ঘ্রাণে মন-প্রাণ জুড়িয়ে যায়। মাঠ ভরা সোনালি ধান বলে দিচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য নবান্ন এসে পড়েছে।
কৃষকের সাথে পাড়া-পড়শি, আত্মীয়স্বজন এই উৎসবে যোগ দিয়েছে। নতুন ধানের চাল তৈরি করে নানা ধরনের পিঠা-পুলি খাওয়ার উৎসবের অন্য রকম এক বার্তা যেন বইছে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ছয় ইউনিয়নে রোপা আমন চাষ করেছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কৃষকেরা অনায়াসে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ করতে পারছেন। ফলন ভালো ও বাজারে ধানের ভালো দাম থাকায় খুশি কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭৩৮ হেক্টর। তবে লক্ষ্যমাত্রা কমে আবাদ হয়েছে ৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড চাষ হয়েছে ৫২৫ হেক্টরে। ফলন হেক্টরে ৬ টন। উফশী জাতের ধান চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯৯০ হেক্টরে। ফলন প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ৮ টন। স্থানীয় জাত বাদশা ভোগ ২০ হেক্টরে। ফলন ১ দশমিক ৮ টন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মোকারিমপুর, জুনিয়াদহ, ফকিরাবাদ, বাহাদুরপুর, ধরমপুর, চাঁদগ্রাম, বাহিরচর, মির্জাপুর, মওলাহাবাসপুর মাঠে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এখন এসব মাঠের পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, এ বছর প্রতি বিঘায় রোপা আমন ধানের উৎপাদন হয়েছে গড়ে ১৬ থেকে ২৫ মণ। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকায়। সে হিসেবে বিঘায় উৎপাদিত ধান বিক্রি করা হচ্ছে ২০ হাজার টাকার মতো। এবার ভালোই লাভ থাকছে কৃষকের।
জুনিয়াদহ গ্রামের কৃষক শাহানুল হক বলেন, এবার ধানের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কয়েকটি সেচ কম লেগেছে। মাঝে পোকার উপদ্রব হলেও মোকাবেলা করা হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, এবারে আমনের লক্ষ্যমাত্রা যা ছিল তা অর্জিত হয়নি। এর কারণ হলো পুষ্টির চাহিদা মেটাতে জোর দিয়ে ফলবাগান ও সবজি চাষের কারণে ধানের জমি কমে গেছে। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকলেও মাঝে রোগ পোকার আক্রমণ হয়। তবে কৃষি অফিস থেকে ব্যবস্থা নেয়ায় প্রতিরোধ করা গেছে। ফলে ফলন ভালো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল