২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাজগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ আ’লীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষ আহত ৫৩

-

সিরাজগঞ্জে জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার জেলা যুবদলের আয়োজিত সমাবেশ পুলিশের বাধার মুখে পণ্ড হয়ে যায়। এতে পুলিশ-যুবদল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেলের আঘাতে সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম, কনস্টেবল বদরুজ্জোহা, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, দফতর সম্পাদক আবু মুছা, সদস্য মিলন, পৌর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল ও পৌর যুবদল নেতা আব্দুল মতিনসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫৩ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আব্দুল মতিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। বিএনপি সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যুবদলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ভোরে ইবি রোডস্থ দলীয় অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি আলামিন খান, সাধারণ সম্পাদক মো: মোরাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা মিছিল করে সেøাগান দিতে দিতে দলীয় অফিসের সামনে সমবেত হয়। দলীয় অফিসের সামনে এবং আশপাশে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। পুলিশের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই মিছিল করে এসে যুবদলের নেতৃবৃন্দ দলীয় অফিসের সামনে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে। পরে সেখানে ব্যানার নিয়ে প্রধান অতিথি যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠিক সম্পাদক মাছুমুল হকের উপস্থিতিতে জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু করা হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় যুবদলের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশ ধাওয়া করে, এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এসে পুলিশের সামনেই যুবদলের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কার্যত বিএনপি অফিসের সামনের সড়কটি ঘণ্টাব্যাপী ত্রিমুখী রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
সদর থানা ওসি নজরুল ইসলাম জানান, জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ইবি রোডের প্রধান সড়ক বন্ধ করে আলোচনা সভা করছিল যুবদল নেতাকর্মীরা। এ সময় তাদের সড়ক ছেড়ে অনুষ্ঠান করার আহ্বান জানানো হলে যুবদল কর্মীরা বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে সদর থানার তদন্ত ওসি গোলাম মোস্তফা, সেকেন্ড অফিসার সাইফুল ইসলাম এবং একজন কনস্টেবল আহত হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। এর মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য বগুড়া পাঠানো হয়েছে। ইটের আঘাতে গুরুতর আহত এসআই সাইফুল ইসলাম এবং সিপাহি বদরুদ্দোজাসহ তিনজনকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement