২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘চট্টগ্রাম বিভাগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় টাস্কফোর্সের অভিযান জোরদার করা হবে’

-

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেছেন, অস্ত্র উদ্ধার, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক, চোরাচালান, সন্ত্রাস, ধর্ষণ, ইভটিজিং, শ্লীলতাহানি, চুরি-ডাকাতি, জ্বালানি তেল পাচার ও চোরাচালান রোধে টাস্কফোর্স এবং মোবাইল কোর্ট অভিযান আরো জোরদার করা হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে একটি মহল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে সারা দেশে তৎপর রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সবসময় সজাগ থাকতে হবে। একই সাথে ভারতসহ কোনো দেশের পণ্য অবৈধ পন্থায় যাতে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে নজর রাখতে হবে। মাদকের অভিশাপ থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে দিনভর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চোরাচালান নিরোধী আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, বিভাগীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা, বিভাগীয় নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা, বিভাগীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স সভা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগণের সাথে সমন্বয় সভা, জেলা প্রশাসকগণের সাথে সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস পৃথক পৃথক সভাগুলোর আয়োজন করে।
সভায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন অপরাধের কারণে মামলার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ মামলা মাদক ও চোরাচালান সংক্রান্ত। মাদক ও চোরাচালান বিষয়ক ৬৫ হাজারের অধিক মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এগুলো যথাসময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে আদালতে মামলার জট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। মামলাগুলো কী কারণে নিষ্পত্তি হচ্ছে না তার কারণ চিহ্নিত করে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বিচারক, পিপি ও সংশ্লিষ্টদেরকে আরো আন্তরিক হতে হবে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে একটি মহল ফেসবুকে গুজব ছড়াচ্ছে, ধর্মের দোহাই দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া নজরদারিতে রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পণ্য পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি আবদুল মান্নান বলেন, চট্টগ্রাম বিআরটিএ দুর্নীতি ও দালাল চক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে ঘুষ না দিলে সেবা মিলে না। আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে বিজিবি ও র্যাব মোতায়েনের দাবি জানান মান্নান।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালহ মোহাম্মদ তানভীর, বিজিবির জোনাল কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আকবর, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: হাসান শাহরিয়ার কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান (চট্টগ্রাম), ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি (বান্দরবান), প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি), মো: মামুনুর রশীদ (কক্সবাজার), মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান (নোয়াখালী), আনোয়ার হোছাইন আখন্দ (লক্ষ্মীপুর), অঞ্জনা খান মজলিশ (চাঁদপুর), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (রাঙ্গামাটি), মোহাম্মদ কামরুল হাসান (কুমিল্লা), আবু সেলিম মাহমুদুল হাসান (ফেনী), হায়াত-উদ-দৌলা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া), রেলওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম, নৌ-বাহিনীর নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আকিক আহমদ, আনসার ভিডিপির রেঞ্জ পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো: মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, এনএসআইয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাওলাদার প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement