২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
পূজা উদযাপন পরিষদের প্রশ্ন

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপের বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল কেন

-

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলকুমার চ্যাটার্জি বলছেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে যত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তার একটিরও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। কোনো ঘটনা ঘটার পর দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি দোষারোপের সংস্কৃতি পরিস্থিতি আরো নাজুক করে। শারদীয় দুর্গাপূজায় কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা ও হামলা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় প্রশাসন সময়োযোগী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। কুমিল্লা নানুয়া দীঘিরপাড়ের মণ্ডপটি অস্থায়ী। ঘটনার রাতে মণ্ডপে মাত্র একজন পাহারায় ছিল। রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য মণ্ডপ এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আমাদের প্রশ্ন, কি কারণে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল, সেই বিষয়গুলো তদন্তের আওতায় আনা হয়েছে কি? থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হনুমান মূর্তির কোলের ওপর রাখা পবিত্র কুরআনটি সরিয়ে নেয়ার পর কেন ভিডিও করার সুযোগ করে দিলেন? কেন সে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তা সবার কাছে বিরাট প্রশ্ন।
নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, নোয়াখালীর চৌমুহনীতে বেলা ১১টার মধ্যে সকল পূজামণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হওয়ার পরও যখন হামলা শুরু হয়, তখন পুলিশ ও প্রশাসনের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো পর্যায়ের দায়িত্ব পালনে গাফলতি আছে কি না তা অবিলম্বে চিহ্নিত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকার সমালোচনা করে নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, কোনো একটি ঘটনা ঘটলে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দোষারোপ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রধান হয়ে উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক দোষারোপের কারণে প্রকৃত দোষীরাও পার পেয়ে যাচ্ছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও পারস্পরিক আস্থার জন্য সুখকর নয়।
মতবিনিময় সভায় বলা হয়, আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় শ্যামাপূজায় দীপাবলির উৎসব বর্জন করা হবে। তবে অন্যান্যবারের মতো যথারীতি শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দোষীদের বিচারসহ আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলনকান্তি দত্ত। এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিষদের সাবেক সভাপতি কাজল দেবনাথ, উপদেষ্টা জয়ন্ত সেন, মহানগর সভাপতি শৈলেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর মণ্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement