২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

বুধবারের মধ্যে তথ্য না দিলে টিকা পাবে না স্কুলশিক্ষার্থীরা

-

আগামী বুধবারের মধ্যে তথ্য না দিলে করোনার টিকা পাবে না কোনো স্কুলশিক্ষার্থী। এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীর সব স্কুলশিক্ষার্থীর তথ্য নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। সূত্র জানায়, স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে দুই দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য চেয়েছে মাউশি। গত মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের প্রথম ধাপের সময় শেষ হয়েছে। এখন সারা দেশের স্কুলশিক্ষার্থীদের তথ্য আগামী ২৭ অক্টোবর বুধবারের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে। সূত্র আরো জানায়, সব শিক্ষার্থীর তথ্য জমা হওয়ার পর টিকা দান কার্যক্রম শুরু হবে।
কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মাউশির পরিচালক (স্কুল) বেলাল হোসাইন বলেন, আপনারা দেখেছেন আমরা আপাতত তথ্য নিচ্ছি। ইতোমধ্যে মহানগরীর সব প্রতিষ্ঠানের তথ্য চলে এসেছে। এখন আমরা সারা দেশের অন্যান্য স্কুলের তথ্য দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। সব তথ্য আসার পর ডেটার ভিত্তিতে আমরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করব।
তিনি বলেন, আমরা ছক আকারে শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছি। সেগুলো আইসিটি বিভাগে দেয়া হবে। তারা শিক্ষার্থীদের তথ্য অ্যাপসে সংযোজন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে পারব। এ ক্ষেত্রে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এ বি এম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, নিজ নিজ স্কুলের মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সক্ষমতা অনুযায়ী সারা দেশের জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ২১টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে স্কুলশিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীদের তালিকা সরবরাহ করবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে তাদের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে দেবো।
এ দিকে এর আগে গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা মহানগর ব্যতীত সারা দেশের মাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে তথ্য চেয়েছে মাউশি। আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য মাউশির ই-মেইলে পাঠাতে হবে। টিকা দেয়ার জন্য মাউশির আওতাধীন ঢাকা মহানগর ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তথ্য ছক আকারে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ই-মেইলে পাঠাতে হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ২৫ অক্টোবরের মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ই-মেইল পাঠাবেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে মাউশির ই-মেইলে (ধফফংযবংবপড়হফধৎু২@মসধরষ.পড়স) পাঠাবেন। এ দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের তালিকা পেলে এ মাসেই তাদের টিকাদান শুরু হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ওই তালিকা আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে খুদে ডাক্তারদের মাধ্যমে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ এবং ‘জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ’-এর কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, শিশুদের টিকাদান কার্যক্রমের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত। স্কুলে যায়, এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় কোটির বেশি। এদের জন্য তিন কোটি ডোজ টিকা লাগবে। আমাদের হাতে টিকা আছে। তিনি বলেন, আমরা এখন অপেক্ষায় আছি নিবন্ধনের জন্য। নিবন্ধন আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তালিকা আইসিটি বিভাগকে দেবে। তারা তাদের সিস্টেমে নিয়ে নেবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, একবারে সব নিবন্ধন করা সম্ভব না। নিবন্ধন হতে থাকবে, আমরা টিকাও দিতে থাকব। এর আগে, গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়। তাদের ১০ থেকে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পর্যবেক্ষণ শেষে সারা দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন জাহিদ মালেক।


আরো সংবাদ



premium cement