১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
আবরার হত্যা মামলা

রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২৪ অক্টোবর

-

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামানের আদালত এ দিন ধার্য করেন। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইয়ার যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। কিন্তু তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আদালত ২৪ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত আরো ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। গ্রেফতার ২২ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো: অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো: মেহেদী হাসান রাসেল, মো: মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো: মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো: মনিরুজ্জামান মনির, মো: আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো: মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। মামলার তিন আসামি মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ এখনো পলাতক। এদের প্রথম দুইজন এজাহারভুক্ত ও শেষেরজন এজাহারবহির্ভূত আসামি। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো: কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় মোট ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে শেরে বাংলা হলের তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। তারা ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে ওই হলের সিঁড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।


আরো সংবাদ



premium cement