২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মিটফোর্ডে টাকায় মিলছে করোনার টিকা

মেসেজপ্রাপ্তরা হয়রানিতে
-

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে টাকায় মিলছে করোনার ভ্যাকসিন। আবেদন বা মেসেজ ছাড়াই দুই থেকে তিন হাজার টাকায় মিলছে এই টিকা। অপর দিকে মেসেজ পাওয়া ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট তারিখে কেন্দ্রে এসেও ফিরে যাচ্ছেন ভ্যাকসিন না পেয়ে।

অভিযোগ উঠেছে, করোনা ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে মিটফোর্ড হাসপাতালে গড়ে উঠেছে একটি অসাধুচক্র। তারা প্রতিদিন সাধারণ লোকের সাথে প্রতারণা করে ভ্যাকসিনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের এক নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এই চক্র। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা নিয়ম মেনে ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করেছেন। পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেসেজ পেয়ে নির্দিষ্ট তারিখে হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়েও ফিরে যেতে হচ্ছে তাদের। অথচ শত শত লোক প্রতিদিন এখানে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। তাদের বেশির ভাগই আবেদন না করেই টাকার বিনিময়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন। মেসেজ পেয়ে যারা হাসপাতাল কেন্দ্রে যাচ্ছেন, তাদের ভিড়সহ নানা অজুহাত দিয়ে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। কমপক্ষে দুই দিন ঘুরে তারা ভ্যাকসিন নিতে পারছেন।

সরেজমিন মিটফোর্ড হাসপাতাল টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থা। মেসেজপ্রাপ্তরা সহজে ভিড়তে পারছেন না কেন্দ্রে। প্রতিদিনই দালাল ও প্রতারক চক্র ঘিরে রাখে কেন্দ্রটি। তাদের হাত ঘুরে না গেলে নিরাপদে ভ্যাকসিন নেয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা ইসমাইলের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি চক্র। এই চক্রে রয়েছে হাসপাতালের ইলেক্ট্রিশিয়ান হাসান, লিফটম্যান ইসরাফিল, টিকিট কাউন্টারম্যান অলক, মাহফুজ, মনির, কলেজ গেটম্যান আব্দুল হাই, পরিচ্ছন্নতাকর্মী আবু বকরসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি। এই চক্রের কয়েকজন সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে ধরাও পড়েছে। গত ১৪ অক্টোবর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্র থেকে চক্রের সদস্য ইলেক্ট্রিশিয়ান আক্তার ও লিফটম্যান ফিরোজ নামে দুইজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়ে এসে আবারো একই কাজে জড়াচ্ছে।

প্রতিদিন চক্রটি ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে লাখ টাকা আয় করছে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকা। তাদের দল নেতা ইসমাইলকে প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে।

দেখা গেছে, আউটডোরে (বহিঃবিভাগ) চিকিৎসাসেবা নিতে আসা লোকজন মূলত তাদের প্রথম টার্গেট। চক্রের সদস্যরা টার্গেটকৃত লোকের পিছু নিয়ে প্রথমে ভাব জমায়। পরে তারা রোগ বা সমস্যা সম্পর্কে জানতে চায়। পরে তাকে জানানো হয়, করোনা ভ্যাকসিন নেয়া না থাকলে চিকিৎসক তার চিকিৎসা করবেন না। এরপর ভ্যাকসিন নেয়ার সহজ উপায় তাকে জানানো হয়। ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন; কিন্তু মেসেজ এখনো পাননি এমন ব্যক্তিকে বলা হয় দুই হাজার টাকা দিলে মেসেজ ছাড়াই ভ্যাকসিন দেয়া যাবে। আবার যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি তাদের বলা হয় তিন হাজার দিলেই ভ্যাকসিন মিলবে। রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে বসেই করে দেয়া হবে।

ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য চক্রের সদস্য হাসানকে ফোন করা হয় ভ্যাকসিনের জন্য। এ সময় তিনি জানান, রেজিস্ট্রেশন না করে থাকলেও আমরা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারি। এ জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে। এই টাকা স্যারদের দিতে হয় বলেও জানায় সে। হাসান জানায়, তিন হাজার টাকা দিলে তারা নিজেরাই কেন্দ্রে বসে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করে দেবে। এভাবে প্রতিদিন মিটফোর্ড হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত লোক এই চক্রের খপ্পরে পড়ছেন। আবার সহজ-সরল লোকের অনেকেই রেজিস্ট্রেশনকে ঝামেলা মনে করে চক্রের প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে থাকেন।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল