মহানবী সা: জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন : আল্লামা আবদুল হাই নদভী

বায়তুশ শরফের পীর আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী বলেন, প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত আরব সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরণীয় নজির স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য অনুপম আদর্শ।
আল্লামা মুহাম্মদ আবদুল হাই নদভী গতকাল সোমবার বাদ মাগরিব বায়তুশ শরফ আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা: উদযাপন উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
বায়তুশ শরফ কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিবসে ছিল পাখপাখলির আসর।উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স-মাস্টার্স) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আবু নোমান। প্রধান মেহমান ছিলেন বনফুল কোম্পানির এমডি আবদুশ শুক্কুর। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনজুমনে ইত্তেহাদ বাংলাদেশের সহসভাপতি রাশেদুল আলম খোরশেদ, ঢাকা বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের পরিচালক ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী, মজলিসুল উলামার মহাসচিব মাওলানা মামুনুর রশীদ নুরী, আনজুমনে ইত্তেহাদের নির্বাহী সদস্য হাফেজ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, মুহাম্মদ রফিক খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আনজুমানে নওজোয়ানের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল কালাম ও মাওলানা কাজী শিহাব উদ্দিন।
আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিবসে বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে শানে মোস্তফা সা: মাহফিল এবং আগামীকাল তৃতীয় দিন ১২ রবিউল আউয়াল বুধবার বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হবে আজিমুশশান ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল।