২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লক্ষ্মীপুরে ৪ বছরের ছেলেকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

-

ফোনে প্রবাসী স্বামীর দেয়া তালাকের কথা সহ্য করতে না পেরে সাবিনা ইয়াসমিন (২৫) নামে এক মা তার একমাত্র শিশুপুত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় বঁটি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছেন। পরে তিনি নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। হতভাগ্য ওই শিশুটির নাম আয়ান রহমান (৪)।
এলাকাবাসী জানান, গত রোববার রাত ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ২টার দিকে ঘাতক মা সাবিনাকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। একই সময় পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, সাবিনা সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের তেওয়ারীগঞ্জ গ্রামের সৌদি প্রবাসী আজগর রহমানের স্ত্রী। শিশু আয়ানসহ যৌথ পরিবার নিয়ে তিনি লাহারকান্দি গ্রামে হাফিজ খাঁর বাড়িতে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের আর্থিক সঙ্কট দেখা দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কেও কলহ শুরু হয়। সবশেষ রোববার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে সাবিনা ও তার স্বামীর ঝগড়া হয়। পরে প্রতিদিনের মতো আয়ানকে নিয়ে তিনি নিজকক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পরই ওই কক্ষ থেকে বিকট শব্দ ভেসে আসে। এরপর পরিবারের সদস্যরা দ্রুত দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে সাবিনা আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। শরীরে রক্তমাখা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সেখানেই আয়ানের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
সাবিনার শ্বশুর হুমায়ুন কবির ও দেবর আবির জানান, সাবিনার স্বামী আজগর সৌদিতে রয়েছে। সন্ধ্যায় ফোনে তাদের বাগি¦তণ্ডা হয়। ঝগড়ার কারণে সাবিনা অনেক বেশি রেগে গেলে তারা তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সে নিজকক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আয়ানকে হত্যা করে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহব্বত আলী জানান, বাগি¦তণ্ডার এক পর্যায়ে আজগর তাকে ‘তালাক’ দিয়েছেন বলে তিনি (সাবিনা) জানিয়েছেন। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে ছেলেকে হত্যার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, হত্যার ঘটনায় গৃহবধূকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement