২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বস্তুনিষ্ঠতার প্রশ্নে নয়া দিগন্তের কোনো আপস নেই

নয়া দিগন্তের সংবাদদাতা সম্মেলনে কাজী হারুন
-

দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী হারুন অর রশিদ বলেছেন, শত প্রতিকূলতা ও বিপত্তির মধ্যেও বস্তুনিষ্ঠতার প্রশ্নে নয়া দিগন্তের কোনো আপস নেই। দেশ, সমাজ ও জনগণের জন্য যা কল্যাণকর নয়া দিগন্ত সেদিকেই অবস্থান নেবে, কখনো পিছপা হবে না। তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠু ধারায় ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে নয়া দিগন্ত প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, আর সেই প্রচেষ্টাকে বাস্তবায়ন করতে সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা সংবাদদাতাদের ভূমিকা অপরিহার্য। সেই ভূমিকা পালনে সব রূঢ় বাস্তবতাকে উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, সংবাদ প্রেরণ ও প্রকাশের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে তা পরস্পর সমন্বয়ের মাধ্যমেই সংশ্লিষ্টদের সমাধান করতে হবে। তিনি আগামী এক মাসের মধ্যে নয়া দিগন্ত ইউটিউব সার্ভিস পূর্ণাঙ্গভাবে চালুর ঘোষণা দেন। গতকাল শনিবার দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো ও অফিস প্রধান এবং জেলা প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কথা বলেন। নয়া দিগন্ত কার্যালয়ের বোর্ডরুম থেকে পরিচালিত এ সম্মেলনে সংবাদদাতারা ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। নয়া দিগন্ত কার্যালয় থেকে যোগ দেন সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর, উপসম্পাদক ও বার্তা প্রধান মাসুমুর রহমান খলিলী, নগর সম্পাদক আবু সালেহ আকন, প্রধান প্রতিবেদক হারুন জামিল, ভারপ্রাপ্ত মফস্বল বার্তা সম্পাদক সৈয়দ সালেহ ইমরান, ডিজিএম অ্যাকাউন্ট শহিদুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগ প্রধান আনোয়ারুল ইসলাম জয়, এইচআর বিভাগ প্রধান সাইফুল ইসলাম, সার্কুলেশন বিভাগ প্রধান মির্জা হেলাল প্রমুখ। ভার্চুয়ালি আরো অংশগ্রহণ করেন অনলাইন সম্পাদক হাসান শরীফ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সাদেক ভূঁইয়া।
নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠাকালে নয়া দিগন্ত নিয়ে পাঠকদের যে বিপুল আবেগ ও উৎসাহ ছিল তা আজো স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করে। নানা প্রতিকূলতার কারণে অভাব গ্রাস করলেও সেই ঔজ্বল্যকে ধরে রাখতে হবে। সারা দেশের সংবাদদাতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে যেখানেই থাকুন না কেন, আমরা-আপনারা সবাই মিলে দৈনিক নয়া দিগন্ত।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সালাহউদ্দিন বাবর বলেন, নয়া দিগন্তকে একটা কমপ্লিট নিউজ পেপারের বৈশিষ্ট্য অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কারণ এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যিনি প্রতিদিন দুটো সংবাদপত্র কিনবেন এবং প্রথম পত্রিকাটিতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ না পেলে দ্বিতীয়টি থেকে সেই সংবাদটি পড়বেন। কাজেই সব গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ স্থান পাবে এমন একটা কমপ্লিট নিউজপেপার হতে হবে নয়া দিগন্তকে। তা না হলে প্রকৃত প্রচার সংখ্যার দিক থেকে দেশের সেরা দু’টি পত্রিকার একটি নয়া দিগন্ত সার্কুলেশন ধরে রাখতে পারবে না।
তিনি সংবাদ সংগ্রহ ও পত্রিকার মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সংবাদদাতাদের নিজ নিজ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ আরো বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
উপসম্পাদক ও বার্তা প্রধান মাসুমুর রহমান খলিলী বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই সংবাদের মেরিট। মেরিটের কারণেই একটি সংবাদ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং যথার্থ ট্রিটমেন্ট পায়। তবে পত্রিকার জন্য সম্ভাবনাময় এবং নানা প্রকার উন্নয়ন সংবাদ খুব গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয় সংশ্লিষ্ট সংবাদদাতার যোগাযোগ ও তৎপরতার কারণে। তা না হলে শত শত নিউজের ভিড়ে কোনটি পত্রিকার জন্য সম্ভাবনাময় নিউজ তা খুঁজে বের করা স্বল্প সময় ও সীমিত জনবল নিয়ে খুব কঠিন কাজ। তিনি সংবাদদাতাদের সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে নানা বিষয়ের কথা তুলে ধরে তাদের নিউজের উপযুক্ত ট্রিটমেন্টের জন্য অফিসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দেন।
সম্মেলনে সংবাদদাতা, ব্যুরো ও অফিস প্রধানদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান নুরুল মোস্তফা কাজী, খুলনা ব্যুরো প্রধান এরশাদ আলী, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান আব্দুল আউয়াল, বরিশাল ব্যুরো প্রধান আজাদ আলাউদ্দিন, ময়মনসিংহ অফিস প্রধান সাইফুল মাহমুদ, কক্সবাজার অফিস প্রধান জি এম আশেক উল্লাহ, বগুড়া অফিস প্রধান আবুল কালাম আজাদ, পিরোজপুর সংবাদদাতা দেলোয়ার হোসাইন, জয়পুরহাট সংবাদদাতা ওমর আলী বাবু, মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা শাহনুর ইসলাম, ভোলা সংবাদদাতা সাহাদাত শাহীন, বরগুনা সংবাদদাতা গোলাম কিবরিয়া, সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জিল্লুর রহমান, কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা রেজাউল করিম, রাজবাড়ী সংবাদদাতা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নেত্রকোনা সংবাদদাতা ফজলুর রহমান রোমান, সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ ও চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা হোসাইন মালিক।
সংবাদদাতারা তাদের বক্তব্যে নয়া দিগন্তের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশংসার পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে তাদের কাজের ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরেন। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন দফতরে বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা যে পাহাড়সম সমস্যা মোকাবেলা করেন তার বিষদ বিবরণ তুলে ধরেন। সেই সাথে অন্য মিডিয়ায় কর্মরত সহকর্মী সাংবাদিকদের বিরূপ আচরণের কথাও গভীর দুঃখের সাথে তুলে ধরেন তারা। তারা এসব সমস্যা মোকাবেলার মনোবল ও সাহস পেতে নয়া দিগন্তের সব ঊর্ধ্বতনদের সাথে প্রতি মাসে সম্ভব না হলেও ২-৩ মাস অন্তর অন্তর এ ধরনের সম্মেলন বা স্বাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুরোধ জানান।


আরো সংবাদ



premium cement