২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অভিযোগ

-

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ১ দশমিক ৫৭ একর ভূমির হুমায়ন টিম্বার মার্সেন্ট অ্যান্ড স মিলে এ উচ্ছেদ চালান কাদের মির্জা।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম মিলন অভিযোগ করেন, ১৯৯০ সালে আমরা চার ভাই ১৭৯ নম্বর দাগে মোট ১৭ ডিং জায়গা বদরুল ইসলাম চৌধুরীসহ ১১ জনের নিকট থেকে ক্রয় করি। এরপর ওই জায়গার উত্তর অংশে সাহাব উদ্দিন ও দক্ষিণ অংশে রহমত উল্লাহ ৪ ডিং জায়গা ক্রয় করে। বাকি জায়গা দিয়ে ১৯৯৯ সালে বসুরহাট ইসলামী ব্যাংকে মর্টগেজ দিয়ে আমরা তিন কোটি টাকা লোন গ্রহণ করি। ১৭৯ দাগের যে বাকি ১০ ডিং জায়গা রয়েছে তাতে কোনো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়নি। শুধু আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ১৭ ডিং জায়গায় অবৈধ উচ্ছেদ চালায় কাদের মির্জা। কাদের মির্জা একক ক্ষমতাবলে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শতাধিক অনুসারী নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পেশিশক্তি দিয়ে আমাদের জায়গা জবরদখল করে নেয়। একই সাথে সমিল মেশিন, ফার্নিচার মেশিন, সেগুন কাঠ, টিন বড় ঘর দু’টি ভেঙে নিয়ে যায়সহ আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে কাদের মির্জা আধুনিক শিশু পার্ক গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে শুক্রবার বিকেলে ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করা হয়নি। তাই এ অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে গত ২ সেপ্টেম্বর ফিরোজ আলমের বড় ভাই ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবিরকে বসুরহাট পৌরসভার প্যাডে একটি চিঠি দেয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি সরকারি খাস সম্পত্তির ওপর বিধিবহির্ভূতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। জনস্বার্থে ওই জায়গার ওপর বসুরহাট পৌরসভার শিশুপার্ক নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে আপনার বিধিবহির্ভূত স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য পুনর্নির্দেশ দেয়া হলো। এর আগে গত ২২ মার্চ একই বিষয়ে আরেকটি নোটিশ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
এ ঘটনা নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: খোরশেদ আলম খান, নোয়াখালীর এসপি মো: শহীদুল ইসলাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জিয়াউল হক মীর ও কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইফুদ্দিন আনোয়ারকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও জায়গার বর্তমান মালিক।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে এক ব্যক্তি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে বলেছি। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে বলেছি কাগজপত্র জমা দেন। কাগজপত্র জমা দিলে যাচাই-বাচাই করে বুঝা যাবে প্রকৃত মালিকানা কার।


আরো সংবাদ



premium cement