২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অবশেষে নর্দান মেডিক্যাল কলেজের ২৩৯ শিক্ষার্থীর মাইগ্রেশনের অনুমতি

-

একটানা আন্দোলনের প্রায় ৯ মাসের মাথায় অবশেষে মেইগ্রেশনের অনুমতি পেলেন অনুমোদনহীন রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের ২১ নেপালি শিক্ষার্থীসহ ২৩৯ জন। ১৯ সেপ্টেম্বর মাইগ্রেশনের অনুমতি দিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দোলাচলে থাকা চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবায়নের পথে। এ নিয়ে একাধিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল নয়া দিগন্ত। চিঠিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিধিমালা মানতে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে মানসম্মত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে অনাগ্রহ থাকার কথাও বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কলেজটিকে বিধিমালা পরিপূর্ণ করার জন্য নানা সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তা পূরণ করতে কোনো ধরনের আগ্রহ দেখায়নি। উপরন্তু তারা বিধিমালা প্রতিপালন না করেই এমবিবিএসে আবারও ভর্তির চেষ্টা এবং শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনে বাধা তৈরি করেছিল। তা না হলে ফেব্রুয়ারি মাসেই বিএমডিসি কর্তৃক ২১ জনকে ইন্টার্নি করার সুযোগ দেয়ার সময়ই মাইগ্রেশন নিশ্চিত হয়ে যেত।
মাইগ্রেশন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব রবিউল আলমের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় শর্ত প্রতিপালন না করা এবং প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আগ্রহ পরিলক্ষিত না হওয়ায় অধ্যয়রনরত সব শিক্ষার্থীর রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়।
এই চিঠির পর চিকিৎসক জীবন নিয়ে অনিশ্চিত থাকা ২১ নেপালিসহ পাঁচটি শিক্ষাবর্ষের ২৩৯ জন শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফুটেছে। অবশ্য এ হাসি ফুটানোর পেছনে রয়েছে তাদের ধারাবাহিক আন্দোলন। যা নয়া দিগন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। মালিকপক্ষ দফায় দফায় মাইগ্রেশন ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের তদবির অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত তারা তদবির করে ব্যর্থ হয় এবং মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে সরকার।
কলেজটির শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, মাইগ্রেশন দেয়া হলেও আমাদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেললেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। এটা আমাদের দাবি। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আমরা আন্দোলনে থাকায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছিলাম। হুমকি ধমকির মুখে ছিলাম। মাইগ্রেশন সমস্যায় আমরা একাডেমিকভাবে পিছিয়ে পড়েছি। মাইগ্রেশনের অনুমতি দেয়ায় তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement