বিনা ও বিনার বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসামান্য অবদান রাখার জন্য আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ‘অসাধারণ সফলতা পুরস্কার’ আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। তাছাড়া প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং ও রিলেটেড বায়োটেকনোলজিতে অসামান্য অবদানের জন্য বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামছুন্নাহার বেগম ‘উইমেন ইন প্ল্যান্ট মিউটেশন ব্রিডিং অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
গত সোমবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান কার্যালয় অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আব্দুল মুহিতের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার তুলে দেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা হতে ছয়-সাত বছর পরপর সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অসাধারণ অবদান রাখার জন্য আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট, নারী বিজ্ঞানীদের মিউটেশন ব্রিডিংয়ে অনন্য অবদান ও তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার-এই তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ১৭৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরিতে ১১ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ১০ জন নারী বিজ্ঞানী ও তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সাতজন তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ২০১৪ সালে বিনার বর্তমান মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম মিউটেশন ব্রিডিংয়ে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার অসাধারণ সফলতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল বলেন, বিনার বিজ্ঞানীরা পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে মিউটেশন ব্রিডিং, কনভেনশনাল ব্রিডিং ও অন্যান্য উন্নত কলাকৌশল প্রয়োগ করে এখন পর্যন্ত ১৮টি ফসলের ৮৩টি মিউট্যান্ট জাতসহ সর্বমোট ১১৭টি উচ্চ ফলনশীল ও উন্নত গুণাগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিনা ও বিনার বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময়ে দেশী ও আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে পুরস্কৃত হয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা