১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শিক্ষা অধিকার চত্বরে শ্রদ্ধা

৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট

রাজধানীর শিক্ষা অধিকার চত্বরে বাংলাদেশ ন্যাপের পুষ্পস্তবক অর্পণ: নয়া দিগন্ত -

‘শিক্ষা দিবস’ উপলক্ষে রাজধানীর হাইকোর্ট মোড়ে অবস্থিত ‘শিক্ষা অধিকার চত্বরে’ ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি গতকাল শুক্রবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। গতকাল সকালে শিক্ষা চত্বরে শ্রদ্ধা জানান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপসহ বিভিন্ন সংগঠন। এ সময় বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। এ দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। অথচ সেই দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও পালন করা হয় না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি বলেন, শিক্ষা ও ছাত্র আন্দোলনের তাৎপর্যপূর্ণ এ ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অজানা ইতিহাসের এ গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের কথা। তারা বঞ্চিত এর তাৎপর্য অনুধাবন থেকে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- জাগপা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এম এ জলিল, লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি মহাসচিব মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কামাল ভুঁইয়া, ঢাকা মহানগর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরশাসক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতি তথা শিক্ষা সঙ্কোচন নীতির প্রতিবাদে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী হরতাল পালিত হয়। ছাত্রদের ডাকা হরতালে পুলিশের দফায় দফায় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে শহীদ হন গোলাম মোস্তফা, বাবুল ও ওয়াজিউল্লাহ। সেই থেকে ছাত্রসমাজ দিনটিকে সংগ্রাম ও ঐতিহ্যের মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement