২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চট্টগ্রামে নিজের সাজা অন্যকে দিয়ে খাটানো কুলসুমী গ্রেফতার

-

চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় নিজের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অন্য নারীকে দিয়ে খাটানো কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে সহযোগীসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নগরের পতেঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুলসুমী চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার গৌরস্থান মাঝের পাড়া আহাম্মদ মিয়ার বাড়ির আনু মিয়ার মেয়ে। তবে তার বর্তমান ঠিকানা চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার রহমতগঞ্জ সাঈদ ডাক্তারের ভাড়াবাড়ি। কোহিনূর আক্তার নামে এক গৃহকর্মী হত্যা মামলার আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমী। গত তিন বছর ধরে তার হয়ে জেল খেটেছিলেন মিনু নামে আরেক নারী।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো: নেজাম উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, কুলসুমী অবস্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় থাকত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পতেঙ্গা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগী মর্জিনা আক্তারকেও (৩০) গ্রেফতার করা হয় বলে তিনি জানান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের জুলাইয়ে নগরীর রহমতগঞ্জের একটি বাসায় মোবাইলে কথা বলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গার্মেন্টসকর্মী পারভিনকে গলা টিপে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ সময় পারভিন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন গার্মেন্টসকর্মী কুলসুম আক্তার কুলসুমী। পরে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। পুলিশ দুই বছর তদন্ত শেষে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন জমা দেয়।
২০১৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: নুরুল ইসলাম আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে পারভিন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাজার পরোয়ানামূলে কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে মিনু ২০১৮ সালের ১২ জুন কারাগারে যান। চলতি বছরের ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো: শফিকুল ইসলাম খান নারী ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে জানতে পারেনÑ মিনু কোনো মামলার আসামি নন। পরে গত ১৬ জুন নির্দোষ হিসেবে মিনু কারাগার থেকে মুক্ত হন। মুক্ত হওয়ার পর ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়কে দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।


আরো সংবাদ



premium cement