২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চাঁদপুরে পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে টোয়াব নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়

-

ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক ও সুধীজনদের সাথে মতবিনিময় করেছে। গত শনিবার রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, নদীমাতৃক জেলা হওয়ায় একটা সময় দেশের বাইরেও চাঁদপুরের গুরুত্ব রয়েছে। কিছু দিনের জন্য চাঁদপুর জৌলুশ হারালেও সেই গৌরব ফিরে আসতে শুরু করেছে। চাঁদপুরে পর্যটনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এখন সরকারের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিতে হবে। ভালোমানের হোটেল করতে হবে। নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের যা সম্পদ রয়েছে বা আছে তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে। পৌরমেয়র আরো বলেন, পদ্মা সেতুর পর বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প হবে চাঁদপুর-শরীয়তপুর মেঘনা সেতু। সরকার এখানে একটি ট্যানেল করার পরিকল্পনা করছে। আমরা একটি পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা এখন পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বলছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে পর্যটন শিল্পের অগ্রগতির কাজ দৃশ্যমান করতে চাই। টোয়াব সভাপতি রাফিউজ্জামান রাফি বলেন, আমরা পর্যটনকর্মী, দেশ আমাদের মা। আমরা মায়ের সেবা করি। চাঁদপুরে পর্যটন বাড়াতে মানসম্মান সেবা দিতে হবে। চাঁদপুরের কৃতী ব্যক্তিরা এই জেলার অলঙ্কার ও অহঙ্কার। কিন্তু একটি বিষয়কে নির্ধারণ করতে হবে, আমরা পর্যটকদের কি দেখাব। ইলিশ ফ্যাস্টিভাল কন্টিনিউ করতে হবে। আমরা প্যাকেজ দেবো, কম খরচে ভ্রমণ করার সুযোগ দেবো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার প্রচারণা করুন। প্রাচ্যের সিঙ্গাপুর হিসেবেও পরিচিত করতে পারেন। একজন টুরিস্ট আসা মানে ১৯টি সেক্টরে টাচ করা। এই খাতকে এগিয়ে নিতে আমরা কাজ করি।
টোয়াব সহসভাপতি শিবলুল আজিম কোরেশী তার বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরে এসে আমরা যা দেখলাম, এখানে পর্যটনের অনেক উপাদান রয়েছে। এখানের ইলিশ গোটা বিশ্বে পরিচিত। এখানকার নদী, সূর্যাস্ত পর্যটকদের আকর্ষণ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য বক্তা বলেন, চাঁদপুরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক আবদুস সবুর ম ল অনেক কাজ করেছেন, বর্তমান জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল কাজ করে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সাংবাদিক-লেখকরা এখানকার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে অনেক কাজ করেছেন। দেশের উল্লেখযোগ্য পর্যটন এলাকার চেয়ে চাঁদপুরের সম্ভাবনা অনেক। এখানে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। ঢাকাসহ সব জেলা থেকে চাঁদপুরে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। সড়কপথ, নৌপথ, রেলপথে এক দিনের সফরে কম খরচে চাঁদপুর ভ্রমণ করা সম্ভব। চাঁদপুর অন্যান্য জেলার চেয়ে নিরাপদ। পর্যটন শিল্পের বাড়ি চাঁদপুর হবে, পর্যটন নগরী হবে, সেই প্রত্যাশা করছি।
চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ঢাকাস্থ চাঁদপুর সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার পলাশ, ডিআই-১ তোতা মিয়া, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, আইরুমন্স বিডির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউনুস উল্লাহ, সিনিয়র সাংবাদিক মুনির চৌধুরী, আলম পলাশ, আব্দুল আউয়াল রুবেল, চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আল ইমরান শোভন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, চাঁদপুর ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কে এম মাসুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বি এম হান্নান।
এর আগে চাঁদপুরে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা প্রত্যক্ষ করতে এক দিনের সফরে শনিবার চাঁদপুরে আসেন টোয়াব নেতৃবৃন্দ। টোয়াব সভাপতি রাফিউজ্জামান রাফি ও সহসভাপতি শিবলুল আজিম কোরেশীর নেতৃত্বে ৬০ সদস্যের প্রতিনিধি দল দিনব্যাপী চাঁদপুর সফর করে। আইরুমন্স বিডির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউনুস উল্লাহর ব্যবস্থাপনায় এবং চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে টোয়াব নেতৃবৃন্দ ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাট, পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থল বড় স্টেশন মোলহেড, মেঘনার চরে জেগে ওঠা ‘মিনি কক্সবাজার’ এবং ডাকাতিয়া নদী ভ্রমণ করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement