২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কারাগারে সাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ বিএনপির

-

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, বর্তমান অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার বাসনা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে একের পর এক বিএনপি নেতাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহফুজুর রহমান সাবুকে কারাগারে চিকিৎসায় অবহেলা করে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
গতকাল বুধবার খুলনা বিএনপি অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ওই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে বিএনপির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করে হত্যা করেছে এ সরকার। হাতে, পায়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে শত শত নেতাকর্মীকে। তিনি বলেন, কারা অভ্যন্তরে থাকা অবস্থায় ১৪ জুন বেলা সাড়ে ৩টায় বিএনপি নেতা সাবু অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবার-পরিজনকে কোনো খবর দেয়া হয়নি। অসুস্থ হওয়ার ২ ঘণ্টা পরে বিকেল সাড়ে ৫টায় কারাগার থেকে বের করে রাত ৯টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় একজন কারারক্ষীর মাধ্যমে খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে পরিবারের সদস্যরা সাবুর লাশ দেখতে পান। কারা অভ্যন্তরে কোনো বন্দী মারা গেলে লাশের ময়নাতদন্তের নিয়ম থাকলেও সাবুর ক্ষেত্রে তা হয়নি। পরদিন ১৫ জুন দুপুর পৌনে ১২টায় পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। সবকিছু মিলিয়ে বর্তমান সরকার যেভাবে গুম-খুন করছে, সেভাবেই সাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
মঞ্জু বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন পিন্টুকে যেভাবে কারা অভ্যন্তরে হত্যা করা হয়েছে সেভাবেই সাবুকে হত্যা করেছে সরকার। বর্তমান সরকারের ১৩টি মিথ্যা মামলার আসামি সাবু ২০১৭ সালে কারারুদ্ধ অবস্থায় স্ট্রোকের কারণে দুই চোখ হারান। তারপরও তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়। তিনি সাবু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, মহানগর সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, আমির এজাজ খান, মোশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
৩১ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি : কয়রা-পাইকগাছা উপজেলায় বিএনপির ত্রাণকাজে বাধাদান ও হামলা করে থানা পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে দাবি করে খুলনার ৩১ জন বিশিষ্ট নাগরিক একটি বিবৃতি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার প্রদত্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ১২ জুন খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা থানা পুলিশ যা করেছে তার শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয় এটি একটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন দেশের বিরোধী মত দমনে নিষ্ঠুর ও অমানবিক আচরণ এবং এটি বেআইনি ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেনÑ বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু জাফর, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল মান্নান, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, ডা: রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক ডা: সেখ আখতারুজ্জামান, ডা: শাহজাহান আলী, প্রফেসর খায়রুল আলম, প্রফেসর ড. নাজমুস সাদত, প্রফেসর শেখ মাহামুদুল হাসান, অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল বারি, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ হোসেন, অ্যাডভোকেট শেখ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement