২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকার ২ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

-

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার দুই সিটির বিভিন্ন হাসপাতালের বর্জ্য ও গৃহবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কিভাবে হবে, পয়ঃনিষ্কাষণ, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব বিল্ডিং, সুইপার প্যাসেজসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো: রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বর্জ্য নিয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদেরকে।
এদিন আদালতের শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির। তিনি বলেন, আইন কিভাবে মান্য করা হচ্ছে সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহ পরে এ বিষয়ে আবার শুনানি হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ২০১৬ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দুই সিটির পক্ষে আইনজীবী মো: তৌফিক ইনাম প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন।
ওই দিন আদালতের শুনানিতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির, তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী গাজী মো: গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
অব্যবস্থাপনায় ময়লার ভাগাড় ঢাকা শিরোনামে ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মহিদুল কবির বর্জ্য ব্যবস্থানায় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেন। নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও কোনো জবাব এবং পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো তথ্য না পাওয়ায় ওই আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আইন অনুসারে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে তিন মাসের মধ্যে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে দুই সিটি করপোরেশন। ওই সময়ের প্রতিবেদনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ৩৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপন করা হয়েছে, যার প্রতিটির আয়তন দুই হাজার বর্গফুট। আরো ২৩টির কাজ প্রক্রিয়াধীন। এক হাজার ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে। আর দক্ষিণ সিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালকে পরিচ্ছন্নতা বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল ৭টার মধ্যে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে বলা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ময়লা ফেলার কাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিন হাজার ৬০টি ডাস্টবিন স্বল্প দূরত্বে স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৫৭০০টি স্থাপনের কাজ চলছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের মাটির নিচে পাওয়া গ্রেনেড মাইন মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসে যাচ্ছে জবি, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা কুড়িগ্রামে রেলের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ ক্রিকেট খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিহাব কিশোরগঞ্জে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সাতক্ষীরা বৈদ্যুতিক খুটিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলআরোহী নিহত বার্সেলোনাতেই থাকছেন জাভি চতুর্থ দফা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি : এবারের তাপদাহ শেষেই বৃষ্টিপাতের আশা ফরিদপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজে হাজারো মুসুল্লির কান্না পোরশার নোচনাহারে আগুনে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে

সকল