১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ডিএজি এএজি নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে রুলের শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট

-

সুপ্রিম কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের মামলা পরিচালনার জন্য ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) পদের আইন কর্মকর্তা নিয়োগের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি ফারাহ মাহাবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রুলের শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেন। এর ফলে নিয়মানুসারে মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে এবং তিনি শুনানির জন্য অন্য কোনো বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া।
এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া বলেন, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট তিন ডিএজি ও এএজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, এ ছাড়াও অন্য ছয় এএজির বিষয়ে তথ্য যাচাই করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা ওই রুলের জবাব দাখিল না করায় এবং বার কাউন্সিল থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ না পেয়ে রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত রুলের শুনানিতে বিব্রতবোধ প্রকাশ করেছেন।
২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ১৭৫ জন আইন কর্মকর্তার (ডিএজি ও এএজি) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূইয়া। আইনে নির্ধারিত পেশাগত অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ না করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ দেয়ায় রিটটি দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে আইন কর্মকর্তা নিয়োগে স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিস করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট বলা হয়, ওই নিয়োগটি বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩(৩) নম্বর অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এই শর্ত মানা হয়নি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement