২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের স্বর্ণ চুরির নাটক

সাবেক ৫ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

-

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ভল্ট ভেঙে প্রায় ২০ কেজি স্বর্ণ চুরি ঘটনাটির নাটক সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন সময় এসব আলামত চুরি করা হয়। আদালতে মামলার এসব আলামতের হিসাব চাইলে কর্মকর্তারা নিজেদের রক্ষা করতে চুরি হয়েছে বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মামলার তদন্ত শেষে যশোর সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম আদালতে জমা দেয়া চার্জশিটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চার্জশিটে সাবেক পাঁচ কর্মকর্তা, এক কর্মচারী ও একজন বহিরাগতকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন- রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বাঁধুলি খালপাড়া গ্রামের মৃত জালাল সরদারের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহিবুল সরদার, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলা জয়পুর গ্রামের রণজিৎ কুন্ডর ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভল্ট ইনচার্জ বিশ্বনাথ কুন্ডু, বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভল্ট ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম মৃধা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলা চারুয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভল্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, বলিশাল জেলা মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের মৃত আজিজুল হকের ছেলে সাবেক সহকারী রাজস্ব ও ভল্ট ইনচার্জ আর্শাদ হোসাইন, খুলনা জেলার তেরখাদা উপঝেলা বারাসাত গ্রামের মৃত আতিয়ার রহমান মল্লিকের ছেলে বেনাপোল কাস্টমসের বেসরকারি কর্মী আজিবার রহমান মল্লিক ও বেনাপোলের ভবেরবেড় পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের ছেলে বহিরাগত শাকিল।
অভিযুক্ত ভল্ট ইনচার্জরা পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জানান ওই ভল্টে থাকা স্বর্ণ তদারকির কোনো কর্মকর্তা ছিল না। ভল্টের একটি মাত্র চাবি ছিল। যা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা নিজের হেফাজতে রাখতেন। এ ছাড়া গুদামের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার ছিল না। অথচ বিষয়টি নিয়ে কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নিতেন না। এমনকি পরিমাণ সম্পদ ছিল তারও সঠিক হিসেব রাখতেন না। বিভিন্ন সময় স্বর্ণ উদ্ধার করে গুদামে রাখতেন। কিন্তু আদালতে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতেন না। বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা এসব কর্মকর্তা আলামতের স্বর্ণ আত্মসাৎ করেন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন মামলার আলামতের হিসেবে গরমিল দেখা যায়। আদালতে ওইসব আলামত উপস্থাপন করা লাগবে বিধায় অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সিসি ক্যামেরা বন্ধ রাখে। নিজেরা ভল্টের তালা ভেঙে চুরির নাটক সাজায়।
আদালতে বিভিন্ন মামলার চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি কর্মচারী আজিবরের কাছে প্রায় সময় আসতেন শাকিল শেখ। তারা দু’জনই অপর পাঁচ কর্মকর্তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেন।
অভিযোগে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে যে কোনো সময় বেনাপোল কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলার গোডাউনের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে একদল চোর। এরপর তারা ভল্টের তালা খুলে ১৯ কেজি ৩১৮ দশমিক ৩ গ্রাম স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়। যার মূল্য ১০ কোটি ৪৩ লাখ ১৭ হাজার ৩ শ’ ৬২ টাকা। ঘটনার সময় সিসি ক্যামেরা বন্ধ ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে কাস্টমস হাউজের রাজস্ব কর্মকর্তা এমদাদুল হক বাদি হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে পোর্ট থানায় মামলা করেন। প্রথমে বেনাপোল পোর্ট থানা মামলাটি তদন্ত করে। পরে সিআইডির ওপর মামলাটির তদন্ত ভার অর্পণ করা হয়। সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর জাকির হোসেনের বদলির পর দায়িত্ব পান ইন্সপেক্টর হাসান ইমাম। সর্বশেষ ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম তদন্ত শেষে এ মামলার চার্জশিট জমা দেন। অভিযুক্ত সব আসামিকে চার্জশিটে আটক দেখানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিলাশপুরে আ’লীগ ২ গ্রুপের সংঘর্ষ : ২ শতাধিক ককটেল বিষ্ফোরণ, আহত ৫ রাঙ্গামাটিতে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬ প্রতিবাদ সমাবেশকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জামায়াতের ‘সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না’ ফরিদপুরে বেইলি ব্রিজ অপসারণ করে স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি বাংলাদেশকে এভিয়েশন হাব হিসেবে গড়তে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য অশ্লীল নৃত্য পরিবেশনের অভিযোগে ৫ জন‌ আটক ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য ইসতেসকার নামাজ তীব্র তাপদাহে খাবার স্যালাইন ও শরবত বিতরণ করল একতা বন্ধু উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গলাচিপায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

সকল