২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ

-

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব ধরনের নথি ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সব শিক্ষা বোর্ডকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রুলে জাতীয় শোক দিবসকে অবমূল্যায়ন ও ক্ষুণœ করতে ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিনে জন্মদিন পালন করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দকুমার রায় ও বিপুল বাগমার। আর শুনানির সময় যুক্ত হয়ে রিটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
শুনানির সময় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রিট আবেদনটি করা হয়েছে, এটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটা ব্যক্তিগত ইস্যু, তারা সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করছে। এ সময় আদালত বলেন, ১৫ আগস্ট জন্মদিন হতে পারে। যেভাবে কেক কেটে পালন করেন। একাধিক তারিখের মধ্যে ১৫ আগস্ট কেন বেছে নিলেন। এটাই ওনারা বলছে।
এ সময় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এটা রিট জুরিসডিকশনে আসে না। আমার জন্মদিন আমি পরের দিনও করতে পারি। এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করা চাই না। বেগম খালেদা জিয়া সরকারি কোনো পোস্ট হোল্ড করেন না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রিট আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তিনি সিরিয়াস অসুস্থ। সরকারের কারণে তিনি অসুস্থ। রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম তখন বলেন, এটা রুল শুনানির সময় আমরা দেখব।
আদেশের পর ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তাকে আরো মানসিক চাপে ফেলতে রিট করা হয়েছে। তবু আদালত কিছু বিষয়ে রুল দিয়েছেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে শুনানি শেষে বিপুল বাগমার পরে সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার জন্মদিন হিসেবে পাঁচটি তারিখ ব্যবহার করার কথা রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তার এসএসসির নম্বরপত্রে জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬। বিবাহ নিবন্ধনে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ৪ আগস্ট ১৯৪৪। ২০০১ সালে নেয়া তার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্ম তারিখ ৫ আগস্ট ১৯৪৬। চলতি বছরের মে মাসে তার করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জন্ম তারিখ লেখা আছে ৮ মে ১৯৪৬। এ ছাড়া জাতীয় শোকদিবস ১৫ আগস্ট তিনি জন্মদিন পালন করেন। ফলে আদালত খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব রেকর্ড চেয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে তা দাখিল করতে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিভিন্ন জন্ম তারিখ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ মে রিট আবেদন করেন আইনজীবী মামুন অর রশিদ। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি এবং খালেদা জিয়াকে বিবাদি করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement