২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

এনআইডি না থাকায় অর্ধেক শিক্ষার্থীর টিকা নিবন্ধন হয়নি

-

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে তথ্য সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরই ধারাবাহিকতায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য নিবন্ধনের তথ্য সংগ্রহ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনলাইনে শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি নম্বর, ডিপার্টমেন্টের তথ্য দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই এই নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তাদের তথ্য দিতে পারেননি। বিকল্প কোনো উপায়ও বলছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে সব শিক্ষার্থীকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এনে ক্যাম্পাস খোলার উদ্যোগটি সফল হতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবিÑ এনআইডির বিকল্প হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধনের সনদপত্র দিয়ে সবাইকে ভ্যাকসিন নিবন্ধনের আওতায় আনা হোক। জানা যায়, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আগেই রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে কিন্তু সেই হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে অনেক পরে। মে মাস থেকে টিকার গুঞ্জন শোনা গেলেও চলতি মাসের ৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হয়। নির্ধারিত সময় ১০ জুন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৩১৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৯ হাজার ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। যার প্রায় অর্ধেকাংশই এনআইডি না থাকায় বাদ পড়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি দফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড.উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, সর্বশেষ সময় পর্যন্ত ৯ হাজার ৪৫৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন টিকার জন্য। শিক্ষার্থীদের তথ্যগুলো আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় থেকেই সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে মেসেজে পরে শিক্ষার্থীদের কত তারিখ ও কোন জায়গায় টিকা দেয়া হবে সেগুলো জানানো হবে। এ সময় যাদের এনআইডি নেই তাদের বিষয়ে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি জানি না। রেজিস্ট্রার স্যার ভালো বলতে পারবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো: ওহিদুজ্জামান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ডেটা এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তারপর সরকারেরও টিকা প্রাপ্তির একটি বিষয় আছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাদের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে আবার জানতে চাইব। এনআইডির বিকল্প হিসেবে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। মন্ত্রণালয় থেকে আমরা যে নির্দেশনা পাব সেটি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, জানতে পেরেছি, জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী টিকার নিবন্ধন করতে পারেননি। যেহেতু এটা বড় একটা অংশ নিবন্ধন করতে পারেননি, তাদের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে জানাব এবং যেভাবে করতে বলবে আমরা সেভাবে করতে বলব।


আরো সংবাদ



premium cement