২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিএমপির সন্ত্রাসী তালিকায় চট্টগ্রাম নগর বিএনপি নেতা বক্করের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিএনপির প্রতিবাদ

-

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ৩২৩ সন্ত্রাসীর হালনাগাদ তালিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্করের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় বিস্ময় প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ। গতকাল সোমবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, বেগম রোজী কবির, এস এম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্যসচিব মোস্তাক আহমেদ খান এক যুক্ত বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদল ও যুবদলের রাজনীতির মাধ্যমে তৃণমূল থেকে উঠে আসা আবুল হাশেম বক্কর কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি এবং পরে সফলতার সাথে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে জড়িত এমন একজন পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকে সন্ত্রাসী তালিকায় যুক্ত করা বিস্ময়কর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে শুধু পুলিশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয়নি, বরং পুলিশ যে দলীয় সরকারকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে তা নতুন করে প্রমাণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সিএমপি সন্ত্রাসীদের কোনো তালিকা করেনি, বিএনপিসহ বিরোধী মত দমনের তালিকা করেছে। সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা আজ চট্টগ্রামসহ দেশজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে তারা আজ সাধারণ মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। সরকারি দলের নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতায় পাড়ায়-পাড়ায় তৈরি হয়েছে কিশোর গ্যাং কালচার। তাদের কারণে চট্টগ্রাম শহরসহ সারা দেশ আজ অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। একদিকে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, চাঁদাবাজি, আরেক দিকে পুলিশের গ্রেফতার নির্যাতন, মামলা-হামলা। প্রহসনের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে অনেক কাউন্সিলরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আমরা পত্রিকায় দেখেছি। তাদের অনেককে পত্রিকায় সন্ত্রাসের গডফাদার বলা হয়েছে। অথচ সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও গডফাদারদের বাদ দিয়ে সিএমপি বিএনপির ত্যাগী নেতা আবুল হাশেম বক্করসহ যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। এতে প্রমাণ হয়, পুলিশ আজ আর জনগণের সেবক নয়, তারা আজ একটি অনির্বাচিত ফ্যাসিবাদি সরকারের দলীয় ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জুলুমবাজ সরকার দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে বাকশালী শাসনকে চিরস্থায়ী রূপদানের জন্য করোনাভাইরাসের এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে। লায়ন আসলাম চৌধুরী ও ডা: শাহাদাত হোসেনকে বিনা কারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। আবুল হাশেম বক্করের বিরুদ্ধেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষান্ত হয়নি, এবার তাকে সন্ত্রাসী তালিকায় ঢুকিয়ে হয়রানির নতুন কায়দা শুরু করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে জননন্দিত নেতা আবুল হাশেম বক্করের সম্মানহানিরও প্রতিবাদ করছি।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে আবুল হাশেম বক্করসহ নেতাকর্মীদের নাম প্রত্যাহারের দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement