২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ব্রিফিংয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার

তানিশা হত্যা মামলার চার্জশিট শিগগিরই

-

ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়ায় কিশোরী তানিশা খুনের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় শিগগিরই চার্জশিট দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী। তিনি জানান, ঘটনার দু’দিন মাত্র পেরিয়েছে। সন্দেহভাজন নিশানকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেÑ টেপ দিয়ে হাতমুখ বেঁধে তানিশাকে জোর করে ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায়। সেখানে ধস্তাধস্তি হয়। পরে জোর করে ছাদে নিয়ে রশিতে ঝুলাতে চেষ্টা করে। সেটি করতে না পেরে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। তার দেখানো মতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়। একপর্যায়ে গত শুক্রবার আসামি আদালতে জবানবন্দীতে দোষ স্বীকার করেছে।
পুলিশ সুপার আরো জানান, নিহত মেয়ের বাবা বিদেশে থাকেন। ছেলের বাবা তার জন্মের আগেই মারা গেছেন। নিশানের ভাষ্য, এরপর থেকে মেয়ের বাবা নানাভাবে মানসিক অত্যাচার করেছেন। অনেকবার ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। জমির ফসল দিতো না। শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এর ফলে তার মনে রাগ-ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, তদন্ত আরো বেশ কিছুদিন চলবে। তদন্তে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি। এ সময় পিবিআই পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতোয়ার রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো: খালেদ হোসেন, ফেনী মডেল থানার ওসি মো: নিজাম উদ্দিন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এনএম নূরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মাইজবাড়িয়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে তানিশাকে (১১) নিজ ঘরের ছাদে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। ওই দিন রাতেই নিশানকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরদিন সকালে তানিশার ভাই বাদি হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।


আরো সংবাদ



premium cement