১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনের পানিতে সবচেয়ে বেশি এডিস মশা

-

এই শুষ্ক পরিবেশেও রাজধানীতে এডিস মশার উপস্থিতি রয়েছে। বৃষ্টি না হলেও এবং চারদিক শুষ্ক থাকা সত্ত্বেও এডিস মশার সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি পাওয়া গেছে নির্মাণাধীন ভবনে। গত ৪ থেকে ১০ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬৯টি ওয়ার্ডের ৭০ স্থানে সমীক্ষা চালানো হয়। জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এ সমীক্ষা চালানো হয়।
এই এলাকাগুলোর মধ্যে এডিস মশার সর্বোচ্চ ঘনত্ব পাওয়া গেছে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের লালমাটিয়া ও ইকবাল রোড এলাকায় এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের সায়েদাবাদ ও উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। লালমাটিয়া ও ইকবাল রোডে ঘনত্ব হিসেবে বিআই ছিল ২৩.৩ এবং সায়েদাবাদ ও উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিআই ছিল ২০। সায়েদাবাদ ও উত্তর যাত্রাবাড়ীতে বিআই ছিল ২০ এবং লালমাটিয়া ও ইকবাল রোডে এডিস মশার বিআই ছিল ২৩.৩।
নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি এডিস মশা পেলেও এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি ছিল মেঝেতে জমানো পানিতে ২০.২২ শতাংশ। এরপরই পাওয়া গেছে প্লাস্টিকের ড্রামের পানিতে ১৯.১০ শতাংশ। এডিস মশার লার্ভা ও পিউপার বেশি উপস্থিতি যথাক্রমে প্লাস্টিকের বালতিতে ১১.২৪ শতাংশ, পানির ট্যাংকে ৭.৮৭ শতাংশ, পানির মিটারের গর্তে ছিল ৬.৭৪ শতাংশ, ফুলের টবে ও ট্রেতে ছিল ২.২৫ শতাংশ, প্লাস্টিকের বোতলে ছিল ৪.৪৯ শতাংশ এবং লিফটের গর্তে ডেঙ্গু জীবাণুবাহী এডিস মশা পাওয়া গেছে ৩.৩৭ শতাংশ।
রাজধানীতে এডিস মশার সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি স্থল নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ছাড়াও অন্যান্য নির্মাণাধীন ভবনে ছিল ৩৪.৫২ শতাংশ, একক ভবনে পাওয়া গেছে ১৫.৫৮ শতাংশ, বস্তি এলাকায় ছিল ৪.৭৬ শতাংশ। সমীক্ষায় পরিত্যক্ত কোনো জমিতে এডিস মশার কোনো উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement