১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতির পদটি বিতর্কিত করবেন না : খন্দকার মাহবুব হোসেন

-

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও গুরুত্বপূর্ণ পদ। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকসহ অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই বর্তমান সভাপতির মৃত্যুর কারণে যে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতির কারণে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। যাতে এই পদের মর্যাদা কোনো রকম ক্ষুণ্ন না হয়। তিনি বলেন, এই পদটিকে কোনোভাবেই বিতর্কিত করা ঠিক হবে না। বিতর্কে না গিয়ে সবাই মিলে সম্মানজনক সমাধান খুঁজতে হবে। যাতে সভাপতি পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এ অনুরোধ জানান।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন- কোনো হীনউদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাতে সভাপতির এই পদটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন না হয়, পদটির মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ন থাকে এ ব্যাপারে সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান নির্বাচিত সভাপতির মৃত্যুর ফলে সম্মানজনক এই পদটির গুরুত্ব ও সম্মানের ব্যাপারে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে যাতে এই পদটির মর্যাদা অক্ষুণ্ন থাকে।
গত ৪ মে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন বিষয়ে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভায় তুমুল হট্টগোলে পণ্ড হয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।
ওই দিন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছিলেন, হট্টগোলের কারণে বিশেষ সাধারণ সভা মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সাধারণ সভায় কণ্ঠভোটে এ এম আমিন উদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এরপর গত ৫ মে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ভোটবিহীন ক্ষমতা দখলের যে চর্চা বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনরা চালু করেছে, মঙ্গলবারের এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শূন্য পদে সভাপতি কে হবেন সে জন্য মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরুর আগেই বিশেষ সাধারণ সভা স্থগিত করেছেন সম্পাদক। কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সেখানে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি।
অন্য দিকে একই বিষয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে বারের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত অপর সদস্যরা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় সমিতির সহসভাপতি মুহাম্মদ শফিক উল্যা বলেন, মঙ্গলবারের সাধারণ সভায় আমার সভাপতিত্বে করার সিদ্ধান্ত আগেই গৃহীত হয়েছিল এবং তার রেকর্ড আমাদের কাছে সংরক্ষিত আছে।
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ সেশনের সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি পদসহ ৮টি পদে জয়ী হয় সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা)। অপর দিকে সম্পাদক পদসহ বাকি ৬টি পদে জয়ী হয় বিএনপি সমর্থক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল)। সভাপতি পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু নির্বাচিত হন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ এপ্রিল আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেন। ফলে সভাপতি পদটি শূন্য হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement