গ্রামীণফোনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ- ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২২
গ্রামীণফোনের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে, এ বছর ধারাবাহিক দ্বিতীয় বারের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণফোন।
গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘কোভিড-১৯ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মী ও সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সফলভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০২০ সালে দক্ষতার সাথে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যানইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে বলেন, আমরা কোভিড উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতার সাথে মানিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস, যেসব বিষয়ের ওপর প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তা উন্নত নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা দানে, প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে, উদ্ভাবনে, আধুনিকীকরণে, সমাজের পাশে দাঁড়াতে এবং দায়িত্বশীল উপায়ে ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে এবং এর লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। নিউ নরমালে গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যমে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে এ যাত্রায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উন্মোচনে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে প্রত্যাশী। গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১৪৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, ১০ টাকার শেয়ারে ১৪.৫ টাকা প্রতি শেয়ার) চূড়ান্ত আর্থিক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে, এ নগদ লভ্যাংশের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ। এ হিসাবে ২০২০ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮.৮৬ শতাংশ। উন্নত কাভারেজ ও গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটাতে গ্রামীণফোন এ বছর স্পেক্ট্রাম অকশনে অংশগ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত ১০.৪ মেগাহার্টজ স্পেক্ট্রাম অধিগ্রহণ করে। অতিরিক্ত স্পেক্ট্রাম অধিগ্রহণ ছাড়াও, গ্রামীণফোন দেশজুড়ে ১৫,৫০০ ফোরজি সক্ষম টাওয়ারের ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন করে। এর মাধ্যমে, গ্রামীণফোন গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নয়নে, বাংলাদেশের ডিজিটাল যাত্রায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা পূরণে আরো উন্নত অবস্থানে রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।