রাজধানীর ফুলবাড়িয়া মার্কেটে কী চলছে
- শামীম হাওলাদার
- ১১ এপ্রিল ২০২১, ০০:৪৮
দেশের জুতা ও কাপড় বিক্রির বৃহত্তম পাইকারি বাজার রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২। অভিযোগ রয়েছে, এই মার্কেটের সুনাম ধ্বংস করতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এসব ষড়যন্ত্রকারী ইতোমধ্যে মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে নানা ফন্দিফিকিরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনেকে বুঝলেও টুঁ শব্দটি করতে পারেনি। কেউ মুখ খুলতে চাইলে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে ঘরজামাই দেলু তার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে প্রতিবাদকারীকে শায়েস্তা করেন।
তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক দোকানের ছয় মাসের ভাড়া এককালীন আদায় করতেন। কেউ অপারগতা প্রকাশ করলে তার দোকানে তালা লাগিয়ে পুনরায় খুলে দেয়ার নামে আদায় করতেন দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা। চ্যালেঞ্জ করলেই তার ওপর নেমে আসে অত্যাচার আর জোরপূর্বক কেড়ে নেয়া হতো দোকানের মালিকানা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকেও তোয়াক্কা না করে ঘরজামাই দেলু তার নিজস্ব নিয়মে চালায় মার্কেট।
সম্প্রতি ডিএসসিসি নকশা বহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ শুরু করলে উধাও হয়ে যান সভাপতি নামধারী এই ঘরজামাই দেলু। এ সময় দিশেহারা ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান জাকের সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ফিরোজ আহম্মেদ। তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি নিয়ে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এ দিকে জাকের সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা ঘরজামাই দেলুকে সভাপতি পদে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন এবং কমিটি ভেফু দেন। এরপরই মার্কেটে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ঘরজামাই দেলু নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন বলেন অভিযোগে প্রকাশ।
অভিযোগে আরো জানা যায়, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর এ ও বি ব্লকের নির্মাণকাজ করছে দেলোয়ার হোসেন দেলু ওরফে ঘরজামাই দেলুর মালিকানাধীন হৃদি কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটের নির্মাণকাজ এতটাই নিম্নমানের করেছে যেকোনো সময় আরেকটি রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি ঘটতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। মার্কেটের নির্মাণকাজ শেষ হলেও দীর্ঘ দিন তা ডিএসসিসিকে বুঝিয়ে না দিয়ে মানভেদে দোকান থেকে মাসে আট থেকে ১০ হাজার টাকা করে এককালীন ভাড়া তুলে নেন দেলোয়ার হোসেন দেলু।
ডিএসসিসি’র প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো: রাসেল সাবরিন বলেন, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এর সব নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারপরও প্রকৌশল বিভাগকে এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
মার্কেটের দোকান ও গুদাম ভাড়া দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জাকের সুপার মার্কেটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, ‘কে বা কারা দোকান ভাড়া নিচ্ছেন বা দিচ্ছেন, তা আমাদের নলেজে নেই। তা ছাড়া আমার মার্কেটে কোনো গুদাম নেই, তাই ভাড়া দেয়ার বিষয়টিও আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন দেলু নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমি সভাপতি নেই এখন। কারো কাছ থেকে কোনো টাকাপয়সা নেইনি। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা