২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কক্সবাজারের বদরখালী সমবায় সমিতি

জমির মূল্য হালনাগাদ করার উচ্চ আদালতের আদেশ দেড় বছরেও কার্যকর হয়নি

-

মৌজাদর হালনাগাদ করে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ দিতে উচ্চ আদালতের আদেশ দেড় বছরেও কার্যকর হয়নি। অথচ ভূমি অধিগ্রহণে জমির মালিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের নির্দেশনা ও সদিচ্ছার কমতি নেই কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বদরখালী সমবায় সমিতির প্রায় ৫০ হাজার সমবায়ী। এসব সমবায়ী মানুষ বর্তমানে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি। বর্তমানে এসব মানুষের মালিকানাধীন শত শত একর জমি মাতারবাড়ীতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দর সংযোগ সড়কের জন্য অধিগ্রহণ করা হচ্ছে সেকেলে মৌজা দরে। এ কারণে সমবায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়াছে। বদরখালী সমবায় সমিতির সম্পাদক নুরুল আমিন জনি জানান, বদরখালী সমিতি দেশের সমবায় সমিতি আইনের বিধান মতে, সমিতি অধিভুক্ত জমি কেবল সদস্যদের মাঝে হস্তান্তরিত হয়ে আসছে। হস্তান্তর প্রক্তিয়ায় সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন দিলেই তা কার্যকর হয়ে আসছে। বর্তমানে বদরখালীতে প্রতি ৪০ শতক জমির বিক্রয় মূল্য প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু চকরিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস সরেজমিনে কোনো তথ্য না নিয়ে জমির মৌজামূল্য নির্ধারণ করেছেন প্রচলিত দরের প্রায় ১৫ গুণ কম। তিনি আরো জানান, সমিতি কর্তৃপক্ষ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজার জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে জমির মৌজার দর হালনাগাদ করার জন্য ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি আবেদন করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক কোনো প্রতিকার না করায় আমরা বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে রিট মামলা করি। হাইকোর্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে আদেশ প্রাপ্তির এক মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তির আদেশ দেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক দেড় বছরেও বিষয়টি নিষ্পত্তি করেননি। সমিতির সহসভাপতি আলী মোহাম্মদ কাজল জানান, ‘আমরা জমির মৌজাদর সমিতির অভ্যন্তরে হস্তান্তর মূল্যের আলোকে নির্ধারণের জন্য অসংখ্যবার জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি কিন্তু প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে প্রতিবারই আমাদের কেবল আশ্বাসের বাণীই শুনিয়ে যাচ্ছেন। সমবায়ীরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।’


আরো সংবাদ



premium cement